গঙ্গারামপুর থানার বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কজলতলী এলাকায় শুক্রবার রাতে মন্ত্রী তথা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ পাঁচজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও কর্মীকে ব্যাপক পরিমাণে মারধরের অভিযোগ উঠল জেলা তৃণমূল সভাপতি ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে।তৃণমূলের দু’পক্ষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফলে এমন ঘটনা, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

0
781

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 24 জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর:-তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে সংঘর্ষে আহত হল মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ ৫ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলতলী এলাকায়।আহতদের অভিযোগ, রাত্রে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় জেলা তৃণমূল সভাপতি ঘনিষ্ঠ 20/25 জন মিলে চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ পাঁচজনকে আটকে মারধর করতে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন এলাকার তৃণমূল নেতা ও তার ছেলে সহ অনুগামীরা।

অভিযোগ ,ওই তৃণমূল নেতা ও তার ছেলে সহ বেশ কয়েকজনকে পিস্তল দেখিয়ে লোহার রড দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা। বর্তমানে তারা মহুকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, অনুগামী বলে কিছু হয়না, সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের অনুগামী। আইন আইনের পথে চলবে। ফের জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতির লোকজনদের মধ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকার। থানায় খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ঘটনা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

গঙ্গারামপুর থানার হামজাপুর এলাকার বাসিন্দা লোকমান আলী, আমজাদ আলী, রবিউল ইসলাম এর মত মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র ঘনিষ্ঠরা শুক্রবার রাতে কাজলতলি এলাকা দিয়ে হামজাপুরে যাবার জন্য রওনা দিয়েছিল। সেই সময় জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাসের অনুগামী বলে পরিচিত 20/25 মিলে তাদের পথ আটকে মারধোর করতে শুরু করে বিনা কারনে বলে অভিযোগ। সেই খবর পাওয়া পরেই মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রের ঘনিষ্ঠ লিয়াকত আলী, তার ছেলে, সহ চারজন ছুটে গিয়ে কারণ জানতে চাই।অভিযোগ, জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস ঘনিষ্ট , নাজমুল খান, নাজির খান, গুলজার মিয়া, রফিক মিয়া, রফিকুল মিয়া, ইয়াকুব খান, আল কামান তান, জুয়েল খান, ওয়াসিম বাড়ি খান, আইন উদ্দিন মিয়া, মোজাম্মেল মিয়া, জুলকার নাইম, আবু বক্কর সিদ্দিক, সাজু মিয়া, তাজুল মিয়া সহ আরো অনেকে মিলে তাদের মারধর করে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ আহত বিপ্লব মিত্রের অনুগামীদের। অভিযুক্তদের সকলেরই বাড়ি কাজলতলি ও হামজাপুরে। 

 তৃণমূলের কর্মী বিপ্লব মিত্র ঘনিষ্ট লিয়াকত আলী, লোকমান আলী ,আমজাদ আলীরা অভিযোগ করে বলেন,তৃণমূলের জেলা সভাপতির অনুগামীরা পথ আটকানোর পর তাদের মারধর করা শুরু করে । আমরা বিপ্লব মিত্র সঙ্গে আছি বলেই গৌতম দাস এর লোকজন এমন কান্ড ঘটালো।থানায় 18 জনের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

 জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, অনুগামী বলে কিছু হয়না ,সকলেই তৃণমূল দলের লোক। তাছাড়া প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে সেটাই চাই। আহতদের সকলকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে 18 জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহতদের পরিবারের লোকজনদের তরফে।

ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ গঙ্গারামপুর শহর জেলা জুড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here