গঙ্গারামপুর থানার কেশবপুর এলাকায় এক আদিবাসী যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকা জুড়ে, এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন অভিযোগ খুনের ঘটনা, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

0
496

শীতল চক্রবর্তী,গঙ্গারামপুর ,27 নভেম্বর, দক্ষিণ দিনাজপুর:-এক আদিবাসী যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের কেশবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পাশে। ওই যুবকের বাড়ির কিছুটা দূরে একটি পুকুরের পাশ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয় রক্তাক্ত অবস্থায় বলেও দাবী এলাকাবাসীর থেকে শুরু করে মৃতের পরিবারের লোকজনদের। অভিযোগ, এলাকায় ভালো ছেলে বলেই পরিচিত ওই যুবককে কেউ খুনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এমন ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই সেখানে এলাকাবাসীর পাশাপাশি গঙ্গারামপুর থানার পুলিশও ছুটে আসে।মৃতদেহ উদ্ধার করে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই আদিবাসী যুবকের নাম, দীনেশ মাড্ডি , বয়স(৩৫) বছর।বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার কেশবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পাশে। পেশায় আদিবাসী যুবক হলো সে পেশায় রং মিস্ত্রির কাজ করেই সংসার পরিচালনা করত বলে বলে খবর। পরিবারে বাবা মায়ের পাশাপাশি রয়েছে তার এক ভাইও। বছর দেড়েক আগে দীনেশ বিয়েও করেছে।তার একটি সন্তানও রয়েছে। মৃতের পরিবার তরফে জানা গেছে,শনিবার রাতে স্থানীয় এলাকার একটি কালীপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য গিয়েছিল সে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে। রাত হতেই সকলে বাড়ি ফিরে আসলেও দীনেশ কিন্তু আর ফিরে আসেনি। তবে যে পুকুরে সে কালী প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়েছিল সেই পুকুরে কিন্তু তার দেহ পাওয়া যায়নি ।দেহ পাওয়া গিয়েছে সেই পুকুর থেকে বেশ কিছুটা দূরে আরেকটি পুকুরে।


রবিবার সকাল হতেই দীনেশের বাড়ির বেশ কিছুটা দূরে একটি পুকুরের পাড় থেকে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় এক এলাকাবাসীরা। যে ঘটনা দেখার পর এই খবর দেওয়া হয় তার পরিবারের লোকজনদের।তারা এসে দেখতে পান মৃতের শরীরে কোনও পোশাক না থাকা অবাস্থায় দুই হাত উপরে উঠিয়ে পুকুরে জলের ধারে তার দেহ পড়ে রয়েছে।নাক মুখ দিয়ে বের হচ্ছে অঝরে রক্ত। গালে মুখে রয়েছে আঘাতের চিহ্নও।


মৃতের বাবা রবিন মাড্ডি,ও মৃতের ভাই বিনয় মাড্ডিরা অভিযোগ করে বলেন, ছেলেকে খুন করে ফেলে রেখে গেছে দুষ্কৃতীরা। ওর সাথে কারো কোন গোলমাল ছিল না।প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেক সেই দাবি জানাই।


স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত ভুইমালি,ও আরো এক বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন,যে অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ দেখেছি আমরা তাতে তাকে খুন করা হয়েছে বলেই আমাদের সন্দেহ। তাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।


ঘটনা খবর পাওয়ার পরেই এলাকাবাসী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ছুটে আসে।ছুটে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশও। সেখানে আসে এলাকার স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা কর্মদক্ষ আসিরুদ্দিন আহমেদ সহ আরো অনেকেই।


স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা কর্মদক্ষ আসিরুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জিভাবেই ওই যুবকের মৃত্যু হোক না কেন পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে সেই দাবি জানায়।


পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


এমন ঘটনাই মৃতের পরিবার সহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here