শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ২জুন দক্ষিণ দিনাজপুর-টানা প্রায় দুবছর সুনামের সঙ্গে চাকুরি করার পরে থানা থেকে অন্যত্র বদলি হলেন উত্তরবঙ্গের মধ্যে নামকরা অফিসার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু গঙ্গারামপুর থানা থেকে দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া চলে গেলেন৷যেভাবে গঙ্গারামপুর থানায় পুলিশ প্রশাসনের কাজ করার পাশাপাশি তিনি সমাজসেবা মুলক কাজে তাঁর নাম উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষজনের মধ্যে ছড়িয়ে আছে বহুদিন ধরেই। এমন একজন দক্ষ পুলিশ অফিসারের বদলিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদায়ী

আইসিকে সংবর্ধনা দেবার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাংবাদিক সংগঠন সাবডিভিশনাল রিপোটার্স

অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিকদের সংগঠনের তরফে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।সংবাদিকদের সঙ্গে কাজ করার
অভিজ্ঞতার বিষয় তুলে ধরে বিভিন্ন ধরনের স্মৃতিচারণ করেন বিদায়ী আইসি। সাংবাদিকদের সংগঠনের তরফেও সভাপতি ও সম্পাদকেরা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।সকলের কাছে ভালো মানুষ বলেই পরিচিত এই আইসির এমন বদলিতে
গঙ্গারামপুরবাসীর মন ভারাক্রান্ত।

প্রায় দুবছর আগে জেলার মধ্যে সব থেকে জটিল থানা বলে পরিচিত গঙ্গারামপুর থানাতে আইসি হিসেবে কাজে যোগদান করেছিলেন উত্তরবঙ্গের মধ্যে নামকরা অফিসার বলেই পরিচিত পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু।
সুত্রে যানা গিয়েছে, পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু গঙ্গারামপুরে থানাতে আইসির কাজে যোগদানের আগে সেই সময় থানাতে আইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বহু ঘটনায় বিতকৃত আইসি গৌতম রায়।তার সময়ে প্রায় প্রতিনিয়তভাবে গঙ্গারামপুর থানাতে ঝামেলা খুন, ডাকাতি, চুরি, রাজনৈতিক হিংসা, আদিবাসীদের সঙ্গে পুলিশের

ঝামেলা প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।আইসি গৌতম রায়ের নির্দেশেই গঙ্গারামপুর থানা এলাকার বাসিন্দারা লিখিত সেই সময় অভিযোগ তাঁর সময়ে জানাতে গেলেও তিনি তাঁদের প্রতায়িত কপি দিতেন না বলেও বহু লোকজনদের অভিযোগ ছিল। সেই সময় গঙ্গারামপুরের শহরবাসী গৌতম রায়ের উপরে এতটাই অখুশি ছিলেন যে তাঁর বদলির জন্য বহু বাসিদা মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের সমস্ত দরকারে লিখিত অভিযোগ করেই গিয়েছেন।গৌতমবুর নামে উচ্চ আদালতে বহুবার তার কাজে লিখিত অভিযোগ জমা পরেছে। তাঁকে মূখ পুড়েছে পুলিশের।পরিস্থতির উপর বিবেচনা করেই রাজ্য থেকে সেই সময় উত্তরবঙ্গের মধে নামকরা

অফিসার ইনেসপেক্টার পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডুকে গঙ্গারামপুর থানাতে আইসি হিসেবে কাজে যোগদান করান৷ রাজ্য পুলিশ প্রশাসন সূত্রে যানা গিয়েছে, তাঁর কর্মজীবনে হেমতাবাদে ওসি থেকে মাটিগাড়া ভক্তিনগর সহ বহু থানার ওসি দায়িত্ব তখন থেকেই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে গিয়েছেন। আইসি পদে তাঁর পদুন্নতি হবার পরেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় আইসি সহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামের সঙ্গে। মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার আইসির দায়িত্ব পালন করেছেন সুমানের সঙ্গে। যে সময় গুলিতে থানার পরিবেশ পরিস্থতি খারাপ হয়েছে সময় আইসি হিসেবে পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডুকে সেই থানাতে দায়িত্ব সামলাতে পাঠানো হয়েছে৷তিনিও সেই সময়গুলিতে দায়িত্ব নিতেই ধীরে ধীরে মানুষের কাছের আইসি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।তিনি গঙ্গারামপুর থানাতে কাজে যোগদানের পর থেকেই গঙ্গারামপুরবাসীর কাছের ভালো আইসি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন দক্ষতার সঙ্গে থানা পুলিশের কাজ করার পাশপাশি একের পর এক সমাজসেবা মূলক কাজ করতে শুরু করেন তিনি।বর্তমানে তিনি গঙ্গারামপুর থানা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে আইসি হিসেবে খুবই ভালো মানুষের পরিচয় দিয়েছেন।তিনি কাজ করতে গিয়ে কোন চাপের কাছে মাথা নত করেনি কখনো।যে কোন ঘটনাতে কড়া হাতে মোকাবিলা করেছেন তিনি৷

কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুর থানার আইসি বদলীর নির্দেশ আছে তাকে থেকে।এর পরেই তাঁকে পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাবডিভিশনাল রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিকদের সংগঠনের তরফে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।সেখানে সাংবাদিকদের সংগঠনের জেলা সম্পাদক শীতল চক্রবর্তী সভাপতি চয়ন হোড়, সংগঠনের সদস্য সাংবাদিক পিন্টু কুন্ডু গৌতম বিশ্বাস, অনুপ বিশ্বাস বিপ্লব হালদার নারায়ন বসাক, অমল,দাস রাজিবুল হক, জয় সিংহ, শঙ্কর চৌহান বাবাই সুত্রধর সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন৷

এবিষয়ে জেলার সাবডিভিশনাল রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিকদের সংগঠনের সম্পাদক শীতল চক্রবর্তী ও সভাপতি চরন হোড়েরা জানিয়েছেন, আইসির সঙ্গে কাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

পরে বিদায়ী আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, আমার কর্মজীবনে এখানকার সাংবাদিকেরা একটু অন্যরকম। আপনাদের সঙ্গে কাজ করে আমারো ভালো লেগেছে।
সকলের কাছে ভালো মানুষ বলেই পরিচিত বিদায়ী আইসির এমন বদলিতে গঙ্গারামপুরবাসীর মন ভারাক্রান্ত। অনেকেই তাই বললেন আপনি যেখানেই কাজ করবেন ভালোভাবেই করবেন আর আপনি ভালো থাকবেন।