গঙ্গারামপুর ডাইন অপবাদে একই পরিবারের ৪জনকে বেধড়ক মারধর করে জোর করে মল খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে, গ্রেফতার ৬

0
56

গঙ্গারামপুর ডাইন অপবাদে একই পরিবারের ৪জনকে বেধড়ক মারধর করে জোর করে মল খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে, গ্রেফতার ৬, তদন্তি পুলিশ। শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৪ জুন দক্ষিণ দিনাজপুর।ডাইন অপবাদে একই পরিবারের ৪জনকে বেধড়ক মারধর করে জোর করে মল খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদ্রা রায়পাড়া এলাকায়।ঘটনায় এলাকার ৬জনকে গ্রেফতার করেছেন গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর,গত দুই মাসে গঙ্গারামপুর থানার বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদ্রা রায়পাড়া এলাকায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের।সেই ঘটনা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে দেখা দেয় চরম আতঙ্ক।সাথে সন্দেহ দানা বাদে গ্রামবাসীদের মধ্যে।তাদের অনুমান ,কে বা কারা তুক-তাক করে হত্যা করছে গ্রামের মানুষজনদের।এরপরেই গ্রামের মানুষজন এক তান্ত্রিকের কাছে যায় বলে খবর।সেই তান্ত্রিকের কথা মতো বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের শ্মশানে পূজো দেন গ্রামবাসীরা, এবং রাতে ওই গ্রামের বাসিন্দারা পরমেশ্বর রায়ের বাড়িতে হানা দেয় গ্রামবাসীরা বলে অভিযোগ। ঘটনায় পরমেশ্বর রায়ের স্ত্রী পোতন রায়কে ডাইনি অপবাদ দেন গ্রামবাসীরা বলে তারা দাবি করেন।তাদের অভিযোগ, ওই মহিলার তুকতাকের কারণে গ্রামের মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে। ঘটনায় তাদের পরিবারের চারজনকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।পাশাপাশি জোর করে মল খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকার বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।রাতেই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গঙ্গারামপুর থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর মহকুমার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।বর্তমানে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আহত তিনজন বলে চিকিৎসা করে জানিয়েছে।পাশাপাশি ঘটনায় ওই গ্রামের ৬জনকে গ্রেফতার করেছেন গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।শুক্রবার ধৃতদের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
ঘটনায় আক্রান্ত কৈলাশ রায় অভিযোগ করে বলেন,”এমন ঘটনা এই সমাজে মানা যায় না। কোন রকমে জীবনে বেঁচে গেলাম। প্রশাসন ব্যবস্থা নেই সেটা চাই।” বালা রায় নামে এক আক্রান্তের আত্মীয়া অভিযোগ করেন বলেন,”জীবনের শেষ করে দিতে চেয়েছিল ওরা।ওদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
এলাকার গ্রামবাসী বুল্টি রায় বলেন,”কি করে যে কি হলো বুঝে উঠতেই পারছি না।প্রশাসন বিষয়টা দেখুক।” গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন, ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here