গঙ্গারামপুর এট বুনিয়াদপুর মহকুমা বার অ্যাসোসিয়েশনে কমিটি গঠন নিয়ে বিতর্ক

0
99

গঙ্গারামপুর এট বুনিয়াদপুর মহকুমা বার অ্যাসোসিয়েশনে কমিটি গঠন নিয়ে বিতর্ক, “অভিযোগ”মন্ত্রীর একচেটিয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নতুন কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের ইস্তফা,তৃণমূলের আইনজীবী সেলের প্যাডে কেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি লিস্ট প্রশ্ন,আইনজীবীদের।নিয়ম মেনেই কমিটি হয়েছে দাবি কমিটি ঘোষণা করা সম্পাদকের
শীতল চক্রবর্তী, বালুরঘাট ৩০ অক্টোবর,দক্ষিণ দিনাজপুর।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এট বুনিয়াদপুর মহকুমা বার অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। নতুন কমিটি গঠনের সময় মন্ত্রীর একচেটিয়া ও একতরফা সিদ্ধান্তের অভিযোগ তুলে কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নির্বাচিত ১০জন আইনজীবী একযোগে ইস্তফা দিয়েছেন বলে আইনজীবীদের কমিটিতে নাম থাকা সদস্যদের। তাঁদের দাবি, “এই কমিটি কোনওভাবেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত নয়।” গঙ্গারামপুর মহকুমা বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের একাংশ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন
নতুন করে ভোটাভুটি করে কমিটি গঠন না হলে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।তৃণমূলের আইনজীবী সেলের প্যাডে কেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি লিস্ট প্রশ্ন আইনজীবীদের একাংশের।
গঙ্গারামপুর মহকুমা বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৫০বেশি আইনজীবী এই মহকুমা আদালতের আইনজীবী পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দু’বছর নির্দিষ্ট নিয়মে সকলের মতামত নিয়ে এই কমিটি গঠন হয়ে আসে বলে খবর।অভিযোগ, এবারে সেই প্রক্রিয়া মানা হয়নি।বুধবার কমিটি গঠনের সময় সভাপতি হিসেবে পুনরায় নাম ঘোষণা করা হয় হরিরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের। সম্পাদক পদের জন্য শুরুতে তিনটি নাম প্রস্তাবিত হলেও, শেষপর্যন্ত মন্ত্রী নিজেই শ্যামল পালকে সম্পাদক ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ আইনজীবীদের একাংশের।এই সিদ্ধান্ত থেকেই তীব্র অসন্তোষের ছড়িয়ে পড়ে।
বিরোধী দলের আইনজীবীদের দাবি,
“তৃণমূল আইনজীবী সেলের প্যাডে একতরফাভাবে পদবণ্টনের তালিকা ঘোষণা করা হয়।বাকি আইনজীবীদের কোন মতামত নেওয়া হয়নি।
প্রতিবাদে একযোগে ইস্তফা দেওয়া হয়েছে,করা হয়েছে
পৃথক সাংবাদিক বৈঠকও। আন্দোলনরত আইনজীবী তথা জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারও
“এমন কমিটি গঠনের আগে কখনও হয়নি।এটি সম্পূর্ণ একচেটিয়া সিদ্ধান্ত।আমরা তা মানি না এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
নতুন কমিটির প্রস্তাবিত কার্যকরী সম্পাদকের নাম থাকা রঞ্জিত সাহা ইস্তফা দিয়ে বলেন,
“এই কমিটি অগণতান্ত্রিক। ভোটাভুটি ছাড়া কমিটি গঠন মানি না। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।”
কমিটির পক্ষে প্রতিক্রিয়া
নতুন সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষিত শ্যামল পাল দাবি করেন,“সমস্ত কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে।৪১সদস্যের কমিটি সর্বস্তরের আইনজীবীদের নিয়ে হয়েছে।কে ইস্তফা দিয়েছেন তা আমি জানি না।”
ঘটনায় এখনো মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।” গঙ্গারামপুর-বুনিয়াদপুর মহকুমা আইনজীবী মহলে তীব্র উত্তেজনা ও অস্বস্তির পরিবেশ।যারা প্রতিনিয়ত আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও ন্যায়বিচারের পক্ষেই লড়াই করেন, তাঁদের সংগঠনেই এই দ্বন্দ্ব কতদিনে মেটে, সেদিকেই নজর সকলের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here