স্টার সংবাদের খবরের জের,”গঙ্গারামপুরে কালদিঘি সমবায় হিমঘরে আলু থেকে গাছ বের হয়ে নষ্ট লক্ষ লক্ষ টাকার আলু, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ছুটে আসলেন রাজ্য থেকে দপ্তরের আধিকারিকেরা, তদন্ত করে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস, ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন মন্ত্রীও, ক্যামেরা দেখেই পালালেন সমবায়ের ম্যানেজার শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর। “সমবায় হিমঘরে আলু রেখে সর্বনাশের মুখে জেলার কৃষকেরা”স্টার সংবাদের এই খবর প্রকাশের পরে তদন্ত করতে কলকাতা থেকে ছুটে আসলো সমবায় দপ্তরের আধিকারিকেরা গঙ্গারামপুরের কালদিঘি বহুমুখী হিমঘরে। ছুটে আসলেন জেলা সমবায় দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে একাধিক একাধিক আধিকারিকেরা, ম্যানেজারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন দপ্তরের আধিকারিকেরা।এদিকে স্টার সংবাদের ক্যামেরা দেখেই পালাতে ব্যস্ত সমবায়ের ম্যানেজার অধীর দেবশর্মা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে যখন আলু থেকে গাছ বের হয়ে গিয়ে আলু নষ্ট হয়ে যাওয়া কৃষকেরা মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হয়েছেন তখন তারা সমবায়ের ম্যানেজার পরিবর্তনের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দাবীতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তাই ১০০ এর উপরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী জানালেন, তদন্ত বিষয়টি বিবেচনা করবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন জেলার এআরসিএস। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে গঙ্গারামপুরের সমবায় হিমঘরে ভাই ১০হাজারের উপর কৃষক আড়াই লক্ষ বস্তা আলু সংরক্ষণ করে থাকে। বিগত দিনেই সমবায়ের আলো রেখে এত পরিমানে ক্ষতির মুখে কোনদিন আগে বলে জানা গেছে। কালদিঘি সমবায় সমবায় হিমঘরে আলুরেখে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কৃষক পরেশ বসাক, ও আরেকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন,”এক ক্ষতিপূরণ হবার নয়,তাই মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।আমরা চাই ক্ষতিপূরণ।” এদিকে সমবায় হিমঘরের বেহাল অবস্থা নিয়ে স্টার সংবাদে খবর করতেই মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসে। রবিবার রাজ্য সমবায় দপ্তর থেকে কলকাতার আধিকারিক গৌতম কুমার দে চিফ এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার সমবায় বিভাগ কলকাতা, ও জেলা এআরসিএফের দপ্তরের আধিকারিক সনিত কুমার দাস রবিবারের দিনে ছুটে আসেন। এসে তিনি দপ্তরের বিভিন্ন জায়গা আলু নষ্ট হবার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার সমবায় কালদিঘি হিমঘরের ম্যানেজার অধীর দেবশর্মা ভূমিকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।দীর্ঘদিন ধরে এসি মেশিন সমবায়ের হিমঘরে ব্লকে খারাপ থাকলেও কেন ওই ম্যানেজার এআরসিএস দপ্তর ও রাজ্যে জানাইনি তা নিয়েও ভৎসনার মুখের উপরের দিন। সমবায় দপ্তরের চিফ এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার কলকাতার আধিকারিক গৌতম কুমার দেজানিয়েছেন,”কৃষকদের ক্ষতির বিষয়টি দপ্তরের নির্দেশে ছুটে আসা হয়েছে। ম্যানেজার থেকে শুরু করে কৃষকদের যারা ক্ষতির মুখে ফেলল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখে রিপোর্ট পেশ করা হবে।” জেলা এআরসিএফের দপ্তরের আধিকারিক সনিত কুমার দাস বলেন,”কৃষকেরা যেন ক্ষতিপূরণ পান তার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তদন্তে কেউ গাফিলতি করলে ব্যবস্থা না হবে। আমরা কৃষকদের পাশে রয়েছি।” রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন,”কৃষকদের এমন ক্ষতি ঠিক নয়, দপ্তর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। আমরা কৃষকদের পাশে রয়েছি।” কেন এতদিন ধরে হিমঘরের একটি ব্লকের এসি মেশিন খারাপ থাকলো কেনই বা কালদিঘি সমবায় হিমঘরের ম্যানেজার সেটি দপ্তরের আধিকারিকদের জানালেন না এবিষয়ে ম্যানেজার অধীর দেবশর্মাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি, মুখে কোন কথা না বলে ক্যামেরা দেখে পালাতে ব্যস্ত।” এখন দেখার বিষয় এটাই সমবায় হিমগরের লক্ষ লক্ষ টাকার আলু নষ্ট হবার বিষয়ে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় এবং কৃষকদেরই ক্ষতিপূরণ কতটা তারা দিতে পারে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।