রায়গঞ্জ:-খ্রীষ্টধর্মের শ্রেষ্ঠ ও পবিত্র উৎসব বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠলেন সারা বিশ্বের সাথে সাথে আমাদের এই বাংলাও। বাদ নেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ। সকাল থেকেই প্রভু যীশুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন চার্চে চলছে প্রার্থনা। তবে রাজ্যের মধ্যে অন্যতম সেরা গীর্জা রায়গঞ্জের মিরুয়ালে অবস্থিত সেন্ট জোসেফ গীর্জার বাইরে ধর্মপ্রান মানুষের মানুষের পাশাপাশি উৎসব প্রিয় মানুষের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে করোনার কারনে গীর্জার গেট বন্ধ রাখায় ভারাক্রান্ত মনেই বাইরে থেকেই গীর্জার দর্শন ও গেটের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করলেন সাধারন মানুষ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন ” ধর্ম যার যার উৎসব সবার “। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুপ্রেরনাই যেন রাজ্যের প্রতিটি ধর্মের উৎসবে সর্বস্তরের মানুষের যোগদান উৎসবকে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর করার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন করে তুলেছে। সেই ছবি আজও দেখা গেল প্রভু যীশুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে খ্রীষ্টধর্মের পবিত্র ও শ্রেষ্ঠ উৎসব বড়দিনেও। কিন্তু মানুষের এই মিলনে বাদ সেধেছে করোনা আবহ। গীর্জা কর্তৃপক্ষ করোনার কারনে গীর্জার ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় হতাশ দূর দুরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার উৎসব প্রিয় মানুষ। রায়গঞ্জের মিরুয়ালে সুবিশাল সেন্ট জোসেফ গীর্জা বন্ধ থাকায় গীর্জার বাইরে গেটের সামনে আজ খ্রীষ্টধর্মের মানুষ ছাড়াও হাজার হাজার ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করার পাশাপাশি বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠেছেন। এবার বন্ধ রাখা হয়েছে মেলাও। ফলে হতাশ দর্শনার্থীরা। শুধু রায়গঞ্জ বা উত্তর দিনাজপুর জেলার মানুষই নয়, কলকাতা, মালদা, বহরমপুর সহ সারা রাজ্য থেকেই দর্শনার্থীরা এসেছেন রায়গঞ্জের সেন্ট জোসেফ মহা গীর্জায় বড়দিন উৎসবে। মন খারাপ তাদের। প্রভুর দর্শন হলনা, হলনা মিলনমেলায় অংশ নেওয়ায়। সেন্ট জোসেফ গীর্জার ফাদার সেন্ট থানথাপ্পান জানিয়েছেন ওমিক্রন করোনার থাবা বসিয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্যই গীর্জা কর্তৃপক্ষের তরফে আজ গীর্জা সাধারন মানুষের জন্য বন্ধ রাখার পাশাপাশি মেলাও বন্ধ রাখা হয়েছে।