খুঁটি পূজার মধ্যে দিয়ে গঙ্গারামপুরের কালদিঘী পদাতিক ক্লাবের শ্যামাপূজোর প্যান্ডেলের কাজে সূচনা হয়ে গেল, প্যান্ডেল, প্রতিমা, আলসোজ্জাতে থাকছে বিরাট চমক, তারাই হবেন জেলা তথা উত্তরবঙ্গের সেরা আশাবাদী ক্লাব কর্তৃপক্ষ

0
331

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ১৩ই অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুর:-খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে শ্যামাপূজোর কাজের প্যান্ডেলের সূচনা হলো। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের শ্যামা পূজা এবছর ৪৭তম বছরে পা দিল। প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে সেলফিজনের আদলে।প্রতিমাতে যুদ্ধ নয় শান্তি চাই সেই বার্তায় দেওয়া হয়েছে ক্লাবের তরফে। আলকসজ্জাতেও থাকছে চমক। এই পুজোতে হিন্দু-মুসলমান সকল সম্প্রদায় মানুষজন মিলিতভাবে পুজো করে থাকেন। তাদের পুজোয় হবে জেলা তথা উত্তরবঙ্গের মধ্যে সেরা দাবি করলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

      গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পরেই দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথবাটি কালদিঘি বটতলাতে রয়েছে কালদিঘি পদাতিক এই  ক্লাবটি। সারা বছরই খেলাধুলা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনদের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক সমাজ সেবামূলক কাজ করে যায় ক্লাবের প্রত্যেকটি সদস্যরা। সেটা কোভিদ 19 হোক বা বন্যার সময় হোক। সবেতেই ক্লাব সম্পাদক আনন্দ দাস, সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া, সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন থেকে শুরু করে সকল সদস্যরা মিলিতভাবে সকলের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যান।

এবছর কালদিঘী পদাতিক ক্লাব ৪৭তম বর্ষে শ্যামা পুজোতে বিরাট চমক রেখেছে তারা। নবদ্বীপ থেকে বিরাট আকারের প্যান্ডেল যা সেলফিজন বলে পরিচিত আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে সে প্যান্ডেল তৈরি কাজের সূচনা হয়ে গেল। শুধু প্যান্ডেলই নয় প্রতিমাকেও রয়েছে যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। ইতিমধ্যেও রাশিয়া ইউকেনের যুদ্ধ প্রায় আট মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এর ফলে সকলকেই সে যুদ্ধে যে দেশের ক্ষতি হচ্ছে তা ভুগতে হচ্ছে। বেড়েছে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দামও।তাই শ্যামা পুজোতে তারা যুদ্ধ নয় শান্তি চান সেই প্রতিমাই বানাচ্ছেন নবদ্বীপের মৃৎশিল্পীকে দিয়ে।আলোকসজ্জাতে থাকছে তাদের বিরাট চমক। পূজো নিয়ে তাদের কয়েকদিন ধরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান।

খুঁটি পূজার অনুষ্ঠান শেষে সমাজসেবী তথা কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের সম্পাদক আনন্দ দাস জানালেন, প্রতিবছরই আমাদের ক্লাবের শ্যামা পূজো দেখতে সকলে মুখর হয়ে থাকেন। তাই জেলা থেকে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সেরা পুজো আমরা তুলে ধরেছি আমাদের শ্যামা পূজার মধ্যে দিয়ে।

  কালদিঘী পদাতিক ক্লাবে সম্পাদক যেমন রয়েছেন একজন হিন্দু মানুষ, তেমনি ক্লাবের সভাপতি রয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শামসুদ্দিন মিয়া, সহ-সম্পাদক রয়েছেন আনোয়ার হোসেনের মত সংখ্যালঘু যুবকেরা।

ক্লাব সভাপতি সামসুদ্দিন মিয়া ও ক্লাব সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেনেতা জানালেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই আমরা যেমন কালী পুজোতে এগিয়ে আসি, তেমনি আমাদের ধর্মের অনুষ্ঠানেও আমাদের ক্লাবের সদস্যরা সেখানে ছুটে যায়। একটি মিলনক্ষেত্র তৈরি হয় সেখানে। যা রাজ্যে একটা অন্য বার্তা পৌঁছায়।

এবারও যে এই ক্লাবের শ্যামাপূজো জেলা থাকা উত্তরবঙ্গের মধ্যে সেরা হবে সে বিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here