খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে ৪৭তমবর্ষে গঙ্গারামপুর ফুটবল ক্লাবের দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজের সুচনা করা হল রবিবার, হারিয়ে যাওয়া বাঁকুড়ার ডোকরা শিল্পকে থিম করে জেলা তথা উত্তরবঙ্গের পুজো দর্শনার্থীদের কাছে আর্কষনীয় করে তুলবে বলে তাদের পুজো ,দাবি ক্লাব কর্তৃপক্ষদের ,পুজো নিয়ে থাকবে বিশেষ অনুষ্টানও
গঙ্গারানপুর ১১ আগষ্ট দক্ষিণ দিনাজপুর :-একটি অনুষ্টানের মধ্যে দিয়ে খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে ৪৭তমবর্ষে দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজের সুচনা করা হল। রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা তথা গঙ্গারামপুর শহরের মধ্যে সারা সাজানো দুর্গাপুজো বলতে গঙ্গারামপুর পৌরসভা ১৪নম্বর ওয়ার্ডর হালদারপাড়া সার্বজনিন দুর্গাপুজো যার পরিচালনায় থাকে গঙ্গারামপুরের ফুটবল ক্লাব।এবছরও ক্লাব কর্তৃপক্ষ বাঁকুড়ার ডোকরা শিল্পকে থিম করে প্যান্ডেল, প্রতিমা, ডোকরা শিল্পের কারুকার্যের মিল রেখে, আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে সব দিক থেকেই তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মূলক প্রচার তুলে ধরে পুজোর আয়োজন করবে বলে তারা জানিয়েছেন।পুজোকে ঘিরে থাকছে বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থাও। তাদের পুজোই হবে সেরার সেরা আশাবাদী ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
গঙ্গারামপুর শহরের ১৪নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বহালদার পাড়ায় অবস্থিত নাম করা ফুটবল ক্লাবটি।যে ক্লাবের তরফে হারিয়ে যাওয়া ফুটবল খেলাকে পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে এসে সারা নিয়ে এসেছে এই ক্লাবের কর্মকর্তারা। সারা বছর ধরেই ফুটবল মাঠে খেলাধূলার আয়োজন করে থাকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে সারা বছর ধরেই মানুষজনদের পাশে থেকে সমাজসেবা মূলক কাজ করে যান ক্লাবের কর্মকর্তা সহ ক্লাব সদস্যরা। সেটা বন্যার সময় মানুষজনদের পাশে দাঁড়ানো হোক আর কোভিড পরিস্থতির সময়ই হোক না কেন।গঙ্গারামপুর ফুটবল ক্লাবের এই পুজোটি হালদারপাড়া সার্বজনীন দুর্গা উৎসব বলেই পরিচিত। ৪৭তম বছরে তাঁদের এই দুর্গাপুজো এবছর পা দিয়েছে। রবিবার শুভ দিনে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারনের মধ্যে দিয়ে মহিলাদের উলুধ্বনি ও ঢাকের বাজনায় মধ্যে দিয়ে খুঁটি পুজো শুরু হয়। হারিয়ে যাওয়া ডোকরা শিল্পকলাকে পুনরায় দুর্গাপুজোতে বাকুড়ার ডোকরা শিল্পের কাজে নিযুক্ত প্যান্ডেল শিল্পদেরি প্রাধান্য দিয়েছে এই ক্লাবের কর্মকর্তারা।প্রতিমাতে থাকছে পুতুলের সাজ, যা প্রতিমা তৈরি হবে পিতলের গহনা থেকে শুরু করে সাজসজ্জা সহ বিভিন্ন জিনিশপত্র দিয়ে। পুজোতে আলোক সজ্জাতেও থাকছে বিরাট চমকও।পুজোকে ঘিরে ফুটবল মাঠে বসবে বিরাট আকারে মেলাও।সেখানে থাকবে নানা ধমনের বিনোদনের জিনিসপত্রও। সেখানে সকল পূজা দর্শনার্থীদের পাশাপাশি কচিকাঁচারাও যেন বিনোদন নিতে পারে তার ব্যবস্থা হবে ক্লাবের তরফে বলে জানা গেছে।
এদিনের খুঁটি পুজোয় অনুষ্ঠানে ফুটবল ক্লাবের সম্পাদক বরুণ সরকার, ফুটবল ক্লাবের সভাপতি,ক্লাবের অন্যতম সদস্য তথা ফুটবল ক্লাবের দুর্গাপুজো
পরিচালনা কমিটির সম্পাদক গৌড়পদ ঘোষ, অন্যতম সদস্য মিলন ঘোষ, সোনাতন হালদার, সুশান্ত সরকার , ভুট্টু হালদার ,মানিক ঘোষ, সুকুমার ঘোষ ,উত্তম সন্ন্যাসী, বাপ্পা সন্ন্যাসী, পরিমল দাস, রাম হালদার, উত্তম দাস, সুরোজিত ঘোষ, রাজু ঘোষ সহ ক্লাবের প্রায়
প্রতিটি সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন। গঙ্গারামপুর ফুটবল ক্লাবের সম্পাদক বরুন সরকার জানিয়েছেন, এবছরও আমাদের ক্লাবের দুর্গাপুজো ৪৭বছরে পা দিয়েছে। এবছরের আমাদের ক্লাবে পূজোতে প্যান্ডেল, প্রতিমা আলোকসজ্জা ও বিনোদনের থাকছে বিরাট ব্যবস্থাও। গঙ্গারামপুর ফুটবল ক্লাবের অন্যতম সদস্য তথা এবছরের পুজো কমিটির সম্পাদক গৌড়পদ ঘোষ জানিয়েছেন,রবিবার প্যান্ডেলের কাজের সূচনা করা হল।আমাদের ক্লাবের পূজো এবার জেলা তথা উত্তরবঙ্গের মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে।পুজো নিয়ে থাকবে বিশেষ অনুষ্ঠানেও। এবছরে এই ক্লাবের দুর্গাপুজো সকল পুজোর দর্শনারদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে সে বিষয়ে আর বলার অপেক্ষা রাখেন না।