পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৮ জুলাই— কোভিড বিধি ও সরকারী নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বালুরঘাটে খুললো স্কুল। সকাল থেকেই শুরু দেদার পঠন পাঠন। অবাক শহরের মানুষ। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের অভিযাত্রী শিশু বিদ্যানিকেতনে। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে যখন বারবার বিশেষজ্ঞরা সচেতন করছেন সেই মুহুর্তে শহরের প্রান কেন্দ্রে কিভাবে একগুচ্ছ শিশু নিয়ে ওই বেসরকারী স্কুলটি চলছিল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

যদিও স্কুল কতৃপক্ষের দাবি, অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে অল্পবিস্তর ছাত্র ছাত্রীদের দিয়েই চলছিল স্কুলটি। সরকারী নির্দেশ ভেঙে কিভাবে স্কুল চালাচ্ছেন সাংবাদিকদের করা সেই প্রশ্নের অবশ্য সদুত্তর দিতে পারেন নি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুপালী সাহা। শহরের অন্যতম প্রানকেন্দ্র অভিযাত্রী পাড়া এলাকায় অবস্থান রয়েছে বেসরকারি ওই শিশু বিদ্যানিকেতনটি। নার্সারি বিভাগের পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। যা স্থানীয় ক্লাব কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপেই পরিচালিত হয়। স্কুলটিতে শতাধিক খুদে পড়ুয়ারা থাকলেও এদিন অবশ্য সেই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের দেখা যায়নি। দুইটি শ্রেনীকক্ষে প্রায় ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন খুদে পড়ুয়াদের নিয়েই এদিন চলছিল পঠন-পাঠন। প্রধান শিক্ষিকা রুপালী সাহার তত্ত্বাবধানে পড়াশুনা চললেও এদিন স্কুলে উপস্থিত শিশুদের কারো মুখেই ছিলনা মাস্ক। অভিভাবকদের অধিকাংশকেও এদিন বিনা মাস্কেই দেখা গিয়েছে স্কুল চত্বরে।রাজ্যজুড়ে সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকলেও বালুরঘাটে খোদ প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে সরকারের নির্দেশিকা ভেঙে ছোট্ট শিশুদের নিয়ে চলছিল ওই স্কুলটি ? যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে খোদ জেলা প্রশাসন। যদিও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবার আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক বিবেক কুমার।
তিনি বলেন, সরকারী নির্দেশিকা কি রয়েছে তা দেখে ওই স্কুলে গিয়ে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

অভিভাবক পূর্ণিমা দাস ও দীপা সরকাররা বলেন, বাড়িতে বাচ্চাদের অত্যাচারের জন্যই স্কুলে নিয়ে এসেছেন। তারা চান স্কুল দ্রুত খোলা হোক।
অভিযাত্রী শিশু বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষিকা রুপালী সাহা জানিয়েছেন, তাদের কাছে কোন বিশেষ নির্দেশিকা নেই। কোভিড নির্দেশিকা মেনে অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে অল্পবিস্তর ছাত্র ছাত্রীদের দিয়েই চলছে স্কুল।