কুমারগঞ্জে দাদার হাতে ভাইয়ের খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। দশদিনের পুলিশ হেফাজত আদালতের
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৪ জুলাই —— দাদার হাতে ভায়ের খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃত সুজন বর্মনকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক দশদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
জানা গেছে, কুমারগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবত্ত গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতেই থাকত দুই ভাই। বড় ভাই কালীপদ বর্মনের চার ছেলে হলেও, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট সংসার ছিল ভাই যদু বর্মনের। গত সোমবার ট্রাক্টর দিয়ে জমিতে চাষ করা নিয়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হয়। যা গড়ায় দীর্ঘ রাত অবধি। ভায়ে-ভায়ের যে বিবাদ মেটাতেই তাদের বাড়ি গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জব্বার আলী মন্ডল। যে সময়ই আচমকা শাবল ও লাঠিসোটা নিয়ে যদু ও তার ছেলে সনাতনের উপর চড়াও হয় কালীপদ বর্মন ও তার পরিবারের লোকেরা। বেধড়ক মারধরের জেরে সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় যদু বর্মন। যাকে প্রথমে কুমারগঞ্জ গ্রামীন হাসপাতাল এবং তারপরে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। যার পরেই মৃত যদু বর্মনের স্ত্রী ভাসানী বর্মন অভিযুক্ত দাদা কালীপদ বর্মন সহ তার পরিবারের মোট চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যে ঘটনার তদন্তে নেমেই মুল অভিযুক্ত সুজন বর্মন কে গ্রেফতার করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। এদিন ধৃতকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত মজুমদার বলেন, জমিতে ট্রাক্টর দেওয়া নিয়ে একটি খুনের ঘটনা ঘটে। যে মামলায় এদিন এক অভিযুক্তকে চৌদ্দ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে তোলা হলে বিচারক দশদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে।