কুনোরের হাটপাড়া গ্রামে কোন মৃৎ শিল্পী বৈশাখ মাস জুড়ে করে না মৃৎ শিল্পের কাজ

0
231

চৈত্র মাসের সংক্রান্তির নাম তো আমরা সকলেই জানি কিন্তু বৈশাখ মাসের নাম মলও মাস এই নাম কি কেউ শুনেছে।মনে হয় না ।তবে এ আমরাই জানাব আপনাদের যে মলও মাস কি।কারা কি ভাবে পালন করে এই মলও মাস । এই বাংলার এমন কিছু গল্প গাথা এখনো প্রচলন আছে যা সমাজের একটা শ্রেণী সেটা নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছে বছরের পর বছর ধরে ।যেমন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফা নগর পালপাড়ার শিল্পীরা বছরের আর পাঁচটা সময় মাটির সাথে যুক্ত থেকে নানান মাটির জিনিস তৈরি করলেও বছরের এই বৈশাখ মাসের কিন্তু তারা মাটিতে এলাকার কোন শিল্পী ই হাত দেন না ।বলা ভাল কেউ কোন মাটির জিনিস তৈরি করে না।শিল্পীদের সাথে কথা বলে জানা যায় কুনোরের হাটপাড়া গ্রামে কোন মৃৎ শিল্পী বৈশাখ মাস জুড়ে করে না মৃৎ শিল্পের কাজ। কারণ জানলেই চমকে যাবেন?কালিয়াগঞ্জ এর কুনোরের হাট পাড়া গ্রামে বৈশাখ মাসজুড়ে কোন মৃৎশিল্পী করে না মৃৎ শিল্পের কাজ নেয় না কোন অর্ডার এর বদলে তারা এই মাসে বেছে নেয় অন্য কোন পেশা ।প্রাচীন প্রথানুযায়ী চৈত্র সংক্রান্তির পর থেকে পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে বন্ধ থাকে কুমোর হাট পাড়া গ্রামে মাটির কাজ। পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে এই গ্রামের কুমোরদের চাকা ঘোরে না। তৈরি হয় না কোন ধরণের মাটির জিনিসপত্র। এই সময় কুমোরেরা বেছে নেয় অন্য কোন পেশা কেউ কেউ কৃষিকাজ কিংবা কেউ বা আবার অন্য কোন ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহন করেন। তবে সেটা শুধুমাত্র বৈশাখ মাস জুড়েই।তবে দীর্ঘ এক মাস বিরতির পর জ্যৈষ্ঠ মাসের কোন এক বিজোড় শনিবারে কুমোরের চাকাতে বিশেষ পুজা পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন করে শুরু হয় মাটির কাজ। কেন এই সময়েই বন্ধ রাখা হয় কাজ এই বিষয়ে কুম্ভকার সম্প্রদায়ের একাংশের মতে, বংশ পরম্পরা গত ভাবে এই সময় কাজ বন্ধ রাখার নিয়ম আছে এটা হলো কুমোর দের একটি বিশেষ প্রথা।জানা যায় যে লাঠি দিয়ে কুমোরেরা চাকাটা ঘোরান তা শিবের ত্রিশূল বলে তাঁরা মনে করেন। শিবের বরপুত্র হলেন রুদ্রপাল। এই রুদ্রপালের বংশধর হলেন কুম্ভকার সম্প্রদায় তাই ওনার স্মরণে এই এক মাস কাজ বন্ধ রেখে দেয় কুমোরেরা। এই সময় কাজ বন্ধ রাখার বৈজ্ঞানিক কারন হিসাবে অনেকে মনে করেন এই এক মাস সময় মাটিকে বিশ্রাম দেয় এই সময় মাটি রস শূন্য হয়।কাজ করতে অসুবিধা হয়।অন্যদিকে এখানকার মৃৎশিল্পীরা বলেন এটা সম্পূর্ণ ধর্মীয় ব্যাপার বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে তারা এই নিয়ম-নীতি পালন করে আসে।যেটা আজও তারা বহন করে যাচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থেকে শুভ আচার্য রিপোর্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here