দক্ষিণ দিনাজপুর, ৩ ডিসেম্বর ——— কুকুরের মুখ থেকে এক অসহায় সদ্যোজাতও শিশুপুত্রের জীবন বাচালো সিভিক ভলেন্টিয়াররা। হাসপাতালের পিছনে পরিত্যক্ত জঙ্গল থেকেই উদ্ধার হয় ওই শিশুপুত্রটি।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার অন্তর্গত রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের। যদিও শিশুটির নাম পরিচয় বা কাহারা ফেলে গিয়েছে সে বিষয়ে কোন তথ্যই উদ্ধার করতে পারেনি বংশীহারি থানার পুলিশ। যদিও উদ্ধার হওয়া ওই শিশুপুত্রকে হাসপাতাল কতৃপক্ষের হাতেই তুলে দিয়েছেন কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়াররা।

জানা যায় শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ বুনিয়াদপুরের রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরের পরিত্যক্ত জঙ্গলে একটি সদ্যজাত শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে যেতেই একটি সদ্যজাত শিশুপুত্রকে দেখতে পান। যার আশপাশে কিছু কুকুরকেও দেখা যায়। যারপরেই সেখানকার কর্তব্যরত সিভিক রা ওই বাচ্চাটি কে তুলে নিয়ে এসে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসকের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে অসহায় ওই শিশুপুত্রটি। কিন্তু সদ্যজাত ওই শিশুপুত্রকে কে বা কাহারা সেখানে রেখে গিয়েছে সেটি এখনও অধরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারি থানার পুলিশ। যদিও স্থানীয়দের দাবি, রাতের অন্ধকারে সকলের অলক্ষ্যে ওই শিশুটিকে তার পরিবারের লোকেরা হাসপাতালের পিছনের জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের রেজিস্ট্রার দেখলেই শিশুটির পরিবারের লোকের খোজ মিলতে পারে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানিয়েছেন আমরা দেখতে পেলাম জঙ্গলের দিক থেকে একটি বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। যারপরেই এখানকার কয়েকজন সিভিক মিলে ওই বাচ্চাটিকে তুলে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকের হাতে তুলে দিয়েছেন । কে বা কারা এরকম করেছে সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে।
বিষয়টি নিয়ে রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডক্টর বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, আমাদের কাছে এই সদ্যজাত শিশুটিকে দিয়ে গিয়েছে কয়েকজন সিভিক। যারা রশিদপুর হাসপাতাল চত্বরে জঙ্গলের ভিতর থেকে উদ্ধার করেছে। আমরা সেই বাচ্চাটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি ও অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে।