কাস্টমস অফিসের সোনা গায়েব কান্ডে ইন্সপেক্টরের যাবজ্জীবন সাজা দিল আদালত। তুমুল আলোড়ন হিলিতে
বালুরঘাট, ২ ডিসেম্বর —– হিলির বহুলচর্চিত সোনা গায়েব কাণ্ডে অবশেষে কঠোর রায় ঘোষণা আদালতের। সরকারি সোনা উধাও হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত নয়, বরং অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেই উঠে এল প্রমাণ—এই নজিরবিহীন ঘটনায় কাস্টমসের তৎকালীন ইন্সপেক্টর বালাদিত্য বারিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আদালত। সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা। জরিমানা না দিলে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাঁকে। মঙ্গলবার এডিজে ফার্স্ট কোর্টের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠকের এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আলোড়ন।
ঘটনার শুরু ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। বিএসএফের হাতে উদ্ধার হয় সাতটি সোনার বিস্কুট— যার ওজন প্রায় ৮১৬ গ্রাম, বাজারমূল্য তখন ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি। নিয়মমতো সেই সোনা কাস্টমসের হেফাজতে আসে। ইন্সপেক্টর বারিক দাবি করেন, তিনি সোনাগুলি স্টেইনলেস স্টিলের বাক্সে অফিসের আলমারিতে সংরক্ষণ করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিনের ছুটি কাটিয়ে ফিরে এসে দেখেন, বাক্সটি হাওয়া। এরপরই তিনি হিলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে তদন্তে উঠে আসে বিস্ময়কর তথ্য। পুলিশের দাবি—সোনা গায়েবের নাটক সাজিয়েছিলেন স্বয়ং বারিকই। তদন্তের অগ্রগতিতে সন্দেহ গাঢ় হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, এবং পরবর্তীতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে।
সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী জানান,এই মামলাটি চলছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এডিজে ফার্স্ট কোর্ট সন্তোষ কুমার পাঠকের এজলাসে গতকাল মাননীয় বিচারক দুইপক্ষকে শোনার পর অভিযুক্ত বালাদিত্য বারিককে IPC,র ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন আজ দুইপক্ষকে শোনার পর আসামি বালাদিত্য বারিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
হিলি কাস্টমস চত্বরে এই রায়ের পর নেমেছে চাঞ্চল্য। তবে প্রশ্ন একটাই—উধাও সোনার শেষ পরিণতি কোথায়, রহস্য কি কোনোদিন উন্মোচিত হবে?




















