রায়গঞ্জ:—-করোনার কারনে বন্ধ রথযাত্রা উৎসবে ভক্তদের আনাগোনা। সারা দেশের সাথে সাথে এবারেও সব জায়গাতেই ভক্ত শূণ্য রথযাত্রা। সে পুরীর রথযাত্রাই হোক কিংবা বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাহেশের রথ্যাত্রা। ভগবান জগন্নাথ বলরাম ও দেবী সুভদ্রার সুসজ্জিত রথযাত্রা পরিক্রমা বন্ধ রয়েছে। রায়গঞ্জ শহরেও চার-পাঁচটি রথ বের হতো। কিন্তু করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে রথযাত্রায়। তাই বলে কি রথের দড়িতে টান দিয়ে পূন্যার্জন করবেন না ভক্তরা। কিভাবে সাধ মিটবে পবিত্র রথের রশি টানার। রায়গঞ্জ শহরের পাড়ায় পাড়ায় দেখা গেল কচিকাঁচাদের তৈরি করা ছোট ছোট রথ পরিক্রমা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কাসর ঘন্টা বাজিয়ে তাদের তৈরি রথ নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে। আর সেই রথের রশিতেই টান দিয়ে ভগবান জগন্নাথ বলরাম ও দেবী সুভদ্রাকে প্রনাম করে পূন্যার্জন করছেন পূন্যার্থীরা। রায়গঞ্জ শহরের অলিতে গলিতে এমনই ছবি ফুটে উঠল আজ রথযাত্রার দিনে।
হিন্দুদের পবিত্র উৎসব রথযাত্রা। এই রথযাত্রায় রথের দড়িতে টান দিয়ে পূন্যার্জন করেন ভক্তরা। কিন্তু গতবছরের মতো এবারেও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে ভক্ত শূণ্য রথযাত্রা উৎসবের নিদান দিয়েছে সরকার। ফলে অনেকেই যেমন ঘরে বসেই টিভিতে রথযাত্রা দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন তেমনি খুদে শিশুদের তৈরি ছোট ছোট রথের দড়িতে টান দিয়ে পূন্যার্জন করতে দেখা যাচ্ছে রায়গঞ্জ শহরে। রায়গঞ্জ শহরে আজ রথযাত্রার দিনে পাড়ায় পাড়ায় অলিতে গলিতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পুচকে রথ তৈরি করে তা পরিক্রমা করছে। আর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পূন্যার্থীরা সেই ছোট্ট রথের রশিতেই টান দিয়ে এবং ভগবান জগন্নাথ বলরাম ও দেবী সুভদ্রাকে প্রনাম করে পূন্যার্জন করছেন। হোক না আকারে ছোট দেব দেবী তো সর্বত্রই বিরাজমান এই বিশ্বাসেই খুদের তৈরি রথ টেনে পূন্যার্জন করতে দেখা রায়গঞ্জের বাসিন্দাদের। তবে আক্ষেপ রয়েই যাচ্ছে যে পূর্নাঙ্গ রথযাত্রা উৎসব উপভোগ করতে না পারার।