কন্টাক নিয়েএলাকার দাদাভাই টোটো করে ধান গম, চুরির চেষ্টা দুই যুবকের।পুলিশে দিল গ্রামবাসীরা,মূল পান্ডার খোঁজে তল্লাশিতে পুলিশ শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ২০ জুন দক্ষিণ দিনাজপুর।টোটো চালকদের পাঠিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বস্তা বস্তা ধান,গম লুট করে আনতে পারলেই হাতে হাতে মিলবে নগদ টাকা।চক্রের মূলপান্ডা বংশীহারী থানার সিংগাদহ এলাকার যুবক এমনই প্রস্তাব দিয়ে দুই দাদাভাই টোটো চালকে ধান,গম লুট করতে এসে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ল বলে অভিযোগ উঠেছে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ গোপালপুর এলাকার বাসিন্দারা দুই দাদাভাই যুবককে উত্তম মাধ্যম দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বংশীহারী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।এলাকার গ্রামবাসী ও পুলিশের কাছে ধৃতরা স্বীকার করেছে যে,মোটা টাকা কামানোর জন্যেই তারা আগে থেকে টাকা নিয়ে কন্টাকে চুরি করে বেড়ায় বিভিন্ন জায়গায় বলে স্বীকার করেছে তারা।পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়ে চক্রের মূল পান্ডার খুঁজে তল্লাশিতে নেমেছে।পুলিশের হাতে ধৃত দুই যুবক ঘটনার মূল পান্ডার ফটো দিয়েছে বলে জানা গেছে। বংশীহারী থানার পুলিশ জানিয়েছে,একটি টোটোর মধ্যে চার বস্তা ধান ও গম সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মিনারুল ইসলাম ও মোস্তাক মিঞা,তাদের বাড়ি বংশীহরী থানার গোপালবাড়ি এলাকায়। বংশীহারী ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ গোপালপুরে রয়েছে আনন্দ মণ্ডল নামে একজন ব্যবসায়ী তার গোডাউন তৈরি করে সেখানে গ্রামগঞ্জে থেকে ধান , গম কিনে জমা করেন।পরে তা বিক্রি করে দেন। আনন্দ মন্ডলের কথায়,”বৃহস্পতিবার গ্রামে ঘুরে কয়েক বস্তা ধান কিনেছিলেন তিনি।সেই গ্রামেই পরিচিত হয় দুই টোটো চালক মিনারুল ইসলাম ও মোস্তাক মিঞার সাথে।তখন তিনি ওই দুই টোটো চালককে তার গোডাউনের চাবি দিয়ে ধান গোডাউনে রেখে আসতে বলেন।ভাড়াও দিয়ে দেন দুজনকে।অভিযুক্ত ওই দুই দাদা ভাই টোটো চালক দুটি টোটো নিয়েই আনন্দ বাবুর গোডাউনের সামনে আসেন।বহু সময় ধরে কেন দুটি টোটো নিয়ে দুজন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে বিষয়টি দেখতে পান আনন্দ মন্ডলের ভাই অর্ঘ্য মন্ডল।দাদাকে টেলিফোনে বিষয়টি জানান।এরপরেই আনন্দ বাবু তার ভাইকে জানান, ধান কিনেছি তা রাখতে টোটো পাঠিয়েছি আমি।কিন্তু গমের বস্তা কেন তারা দুই টোটোতে তুলেছেন একথা বলামাত্রই একটি টোটো নিয়ে পালিয়ে যায় এক অভিযুক্ত বলে গ্রামবাসীরা জানান।ধরা পড়ে যায় বাকি আরেকটি টোটো চালক মিনারুল ও মুস্তাক নামে দুই দাদা ভাই।ছুটে আসে গ্রামবাসীরা,চলে উত্তম মাধ্যমের পালা। অভিযুক্ত ভাই টোটো চালক মোস্তাক মিঞা চুরির ঘটনা পুলিশ ও গ্রামবাসীদের স্বীকার করে নিয়ে বলেন,”কন্টাকে আগে টাকা নিয়ে এমন ধান,গম চুরির কাজে নেমেছি আমরা দাদা ভাই দুজন বহুদিন আগেই।জৈনক যুবকের কথামতো তারা এমন কাজ করে যাচ্ছেন বহুদিন ধরেই” ঘটনার বিষয়ে খবর দেওয়া হয় বংশীহারী থানায়।পুলিশ ছুটে এসে ওই দুই চোর দাদাভাইকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এমন চুরি কাণ্ডের মূল পান্ডার একটি ফটো পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে অভিযুক্ত দুজন বলে পুলিশ জানিয়েছে। গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারি দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন,”দুজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।মূল পান্ডার খোজে তল্লাশি চলছে।পুলিশ পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছে।”