কতৃপক্ষের উদাসীনতা! স্কুলে এসে ডান হাতের আঙুল কাটা পড়লো তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের

0
584

কতৃপক্ষের উদাসীনতা! স্কুলে এসে ডান হাতের আঙুল কাটা পড়লো তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের, বালুরঘাট ললিত মোহন আদর্শ স্কুলের ঘটনায় আলোড়ন

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২ আগস্ট—  স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ডান হাতের আঙ্গুল কাটা গেল তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের। মঙ্গলবার স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ছাত্রের পরিবারের লোকেরা। জানাগেছে, রোহিত দাস নামে তৃতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রের ডান হাতের মধ্যমা আঙ্গুল কেটে কিছুটা বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যে ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে গোটা বালুরঘাট শহরে।     বালুরঘাট শহরের অত্যন্ত  সুনাম অর্জিত স্কুল হিসেবে চিহ্নিত ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। যার প্রাথমিক স্তরে ছাত্রর সংখ্যা চারশো কে অতিক্রান্ত করেছে। সেই স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধেই এবারে উঠেছে উদাসীনতার অভিযোগ। বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র রোহিত দাস গত শুক্রবার বিদ্যালয়ে আসার পরেই বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলার সময় আঙুলে চোট পায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বিদ্যালয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ছাত্রের পরিবারের লোকেদের। দীর্ঘ সময় পর ফোন করে অভিভাবকদের ডাকা হলে তারা এসে শিশুকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই ছাত্রের ডান হাতের মধ্যমা  আঙ্গুল কিছুটা কেটে বাদ দিয়েছেন। আর তাতেই বেজায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ওই ছাত্রের পরিবারের লোকেদের মধ্যে। তাদের অভিযোগ, স্কুল কতৃপক্ষের উদাসীনতার কারনেই এমন ঘটনা। জানা গেছে বালুরঘাটের উত্তমাশা এলাকার বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক গৌতম দাস। তার একমাত্র ছেলে রোহিত দাসের এমন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন তারা। আর কোন ছাত্রের সাথে যাতে এমন ঘটনা না হয় সে বিষয়টি তুলে ধরেছেন ছাত্রের মা শিপ্রা দাস। যদিও বিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রের অভিভাবকদের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি সকাল সাড়ে দশটার সময় অনেক শিক্ষকই স্কুলে আসেন না। তারা আসার পরেই অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
ছাত্র রোহিত দাস বলেন, গেটের ওখানে ঢুকতে গিয়েই দরজায় চাপা পড়ে তার আঙুল কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। শিক্ষকদের বললেও তারা গুরুত্ব দেয়নি।
আহত ছাত্রের বাবা গৌতম দাস ও মা শিপ্রা দাস বলেন, শিক্ষকদের ভরসাতেই গেটের বাইরে থেকে ছেলেদের ছেড়ে দেন তারা। কিন্তু  তারপরে এমন ঘটনা। হাতের আঙুলের অনেকটা কেটে বাদ পড়ায় তার জীবনের অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গেল। স্কুল কতৃপক্ষ যদি এসব না দেখে তাহলে তারা কার ভরসায় ছেলেদের স্কুলে পাঠাবে? আর কোন ছাত্রের সাথে যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্যই তারা স্কুল্র এসেছেন।
যদিও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রকাশ দাস বলেন, অভিভাবকদের তোলা অভিযোগ সঠিক নয়। শিক্ষকরা স্কুলে আসবার পরেই অভিভাবক কে সঙ্গে নিয়ে ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে যাবতীয় চিকিৎসা করিয়েছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here