এক ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে

0
582

এক ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে

শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ,২২ জুলাই :রাতের অন্ধকারে পাথর দিযে ব্যবসায়ীর মাথা থেঁতলিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে । নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার কিছুটা দুরে তার মটোর সাইকেল মিললেও তার দেহ পাওয়া গেছে বেশ কিছুটা দূরে।ওই ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত এমন মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এলাকাবাসীদের।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের 512 নম্বর জাতীয় সড়কের সংলগ্ন এলাকায়। আশেপাশের সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।এদিন সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম মানিক সাহা বয়স 50 বছর। তার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার ভোদন পাড়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। পরিকল্পনা ভাবে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এলাকাবাসীদের। মৃতের পরিবার সূত্রের খবর গতকাল রাত্রে বাজারে কাজ আছে বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় পরিবারে তার মোবাইলে ফোন করলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে পরিবারের লোকজনেরা জানিয়েছেন। ভোর হতেই গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ডে এলাকার বেশ কিছু দোকানদার গঙ্গারামপুর রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে মোটরবাইকটি পরে থাকতে দেখে। কিছুটা দূরে তার রক্তাত্ব মৃতদেহ পড়ে থাকে দেখেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা।এর পরেই মৃতের পরিবারে ও গঙ্গারামপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ছুটে আসে।ছুটে আসে পরিবারের লোকজনও।তারাই এসে মৃতদেহ শনাক্ত করে।মৃতের পরিবার সূত্র খবর,তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী , ও এক ছেলে। মেয়ের কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়ে গেছে ভোদন পাড়াতেই। ওই ব্যবসায়ী বহুদিন ধরেই তার একটি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল বলে খবর।      এ বিষয়ে মৃত ব্যবসায়ীর বাবা জানিয়েছেন , রাত্রিতে বাড়ি যায়নি ছেলে,ফোন করা হয়েছিল ও ফোন ধরেনি।সকালে দেখছি পাথর চাপা দিয়ে খুন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই যারা এমন কাজ করেছে তাদের শাস্তি হোক। 

       এলাকাবাসী বৈদ্যনাথ রায় ও প্রশান্ত সরকারেরা জানিয়েছেন , সকালে এসে দেখি ওই ব্যবসায়ীকে খুন করে ফেলে রেখে গেছে দুষ্কৃতীরা ।আমরা চাই উপযুক্ত শাস্তি হোক দোষীদের।     গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ এর প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই ব্যবসায়ীর গলায় থাকা সোনার গহনা ও হাতের বেসলেট খুলে তাকে খুন করার পর দুষ্কৃতিকারীরা তা নিয়ে গেলেও হাতের বেশ কয়েকটি আংটি রেখে চলে গেছে। আশপাশের সিসিটিভি ভেঙে পাশের একটি দিনের মধ্যে ফেলে দিয়ে গেছে বলে খবর। প্রতিহিংসা নাকি ব্যবসায়ীক সংক্রান্ত গোলমালের যেমন খুন তা নিয়েও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।  

   জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।    

  গঙ্গারামপুর শহরে একের পর এক এমন খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই। এমন ঘটনায় পরিবার সহ এলাকায় জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here