শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 20 অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করল।বুধবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পতরা ও বংশীহারী থানা এলাকা থেকে ওই দুজনকে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এমনটাই জানান গঙ্গারামপুর থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে পাশে বসিয়ে।পুলিশের এমন কাজে খুশি হয়েছেন অপহরণ হওয়া ওই ব্যক্তির স্ত্রীও।ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকলেই।

গত ৮ই অক্টোবর গঙ্গারামপুর থানার আবিদপুর এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত রায় নামে অভিব্যক্তি অপহরণ হয় বলে তার স্ত্রী ধূলি রায় গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। টেলিফোনে তার কাছে দু’লক্ষ টাকা মুক্তি পোনা যাওয়া হয় বলে ফোনের রেকর্ডিং কল থানায় জমা দেন অপহরণ হয়ে যাওয়া রঞ্জিত রায়ের স্ত্রী। ঘটনার তদন্ত করতে দেন থানার আইসি শান্তনু মিত্র এসআই মিজানুর রহমানকে। তিনি ঘটনা তদন্তে নেমে জানতে পারেন যে, ঠিকাদারী সংক্রান্ত লেনদেনের এই এমন অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই দুই অভিযুক্ত নাম সামনে আসে।
গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দুই অভিযুক্তের নাম শাহজান আলম তার বাড়ি বংশীহারী থানার পতরা এলাকায়। ও সুব্রত সরকার তার বাড়ি বংশীহারী থানা এলাকায়। এদিন সকালে আইছি নির্দেশ পেতেই তদন্তকালী অফিসার এসআই মিজানুর রহমান বংশেরী থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে অভিযুক্ত শাহজাহান আলম ও সুব্রত সরকারকে বংশীহারী থানার দুটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করে গঙ্গারামপুর থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার তাদের মহকুমা আদালতে পাঠানো হবে বলে পুলিশের সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বুধবার রাতে গঙ্গারামপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারি, দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পাশাপাশি অপহরণকারীকে উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তদের আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ রিমাইন্ডে দেওয়া হবে। ঘটনার আর কে জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি ঘটনা তদন্তকারী অফিসারকে দেখতে বলা হয়েছে।
এদিকে তার স্বামীকে অপহরণ করার পরে পুলিশের মাধ্যমে ফিরে পাওয়ায় অপহরণ হয়ে যাওয়া রণজিৎ রায় স্ত্রী ধুলি রায় গঙ্গারামপুর থানা পুলিশের কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশ খুবই ভালো কাজ করেছে।ধন্যবাদ জানাই তাদের।
পুলিশের এমন সাফল্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে গঙ্গারামপুর বাসিও।