একটানা বৃষ্টির জেরে নাগর নদীর জলস্ফীতি চরমসীমায়। রায়গঞ্জের ২ নম্বর জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকার কৃষিজমি থেকে রাস্তাঘাট সবই জলের তলায়, চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ।
এলাকার বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়ে রায়গঞ্জের বিস্তীর্ণ গ্রামীন এলাকার বাসিন্দারা চরম বিপাকে পড়েছেন। বহু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। নাগর নদীর জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াত করার জন্য ব্যাবহৃত রাস্তা ও চাষের জমি বর্তমানে চলে গিয়েছে জলের তলায়। সেসব জায়গায় মানুষের ভরসা নৌকা। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন জগদীশপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খারি সরিয়াবাদ, বটতলা, বরবনতলা, গোবিন্দপুর, গোপালপুর সহ বহু গ্রাম নাগর নদীর জলে প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে হাজার হাজার গ্রামবাসী। অভিযোগ, ব্লক বা জেলা প্রশাসনের এখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি। ছয় থেকে আটদিন ধরে গ্রামে জলবন্দী হয়ে আটকে রয়েছেন তাঁরা। পৌঁছয়নি কোনও ত্রান সামগ্রী। বন্যার জেরে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় ধান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলাকার সমস্ত পানীয় জলের টিউবওয়েল জলের তলায় চলে যাওয়ায় পানীয় জলের চরম সমস্যায় রয়েছেন গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। বাধ্য হয়ে অনেকেই বন্যার জলই পান করছেন। কোনও কোনও জায়গায় সাত আট দিন ধরে উঁচু কোনও বাড়িতে একটা ঘরেই আট থেকে দশজন মানুষ আটকে পড়ে রয়েছেন। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিভাবে তার চিকিৎসা হবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন দুর্গত বাসিন্দারা। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন আজ থেকে ওইসব এলাকায় ত্রান দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।