ঈদ উপলক্ষে দারিদ্র পরিবারের হাতে নতুন কাপড় তুলে দিলেন সহৃদয়বান ব্যক্তি। সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি দারিদ্র পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে সমস্ত ধর্মীয় উৎসব সুখময় হয়ে উঠে। প্রিয় ১৫০ জন কে নতুন বস্ত্র তুলে দিলেন ডিটইল হাট গ্রাম থেকে। এছাড়াও দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। নতুন কাপড় পেয়ে খুশি হয়েছে শতাধিক পরিবার।
হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই ঈদ উৎসব। ঈদ উৎসব উপলক্ষে ১৫০ টি নতুন শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করলেন এক সহৃদয়বান ব্যক্তি। প্রতি বছরের মতো এই বছরও ঈদ উপলক্ষে দারিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আরবি অর্থ “রোজা”(উপবাস) ভাঙার আনন্দ ইসলামদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি। অন্যটি হলো ঈদুল আযহা৷ ধর্মীয় পরিভাষায় একে ইয়াওমুল জায়েজ অর্থ পুরস্কারের দিবস হিসাবেও বর্ণনা করা হয়েছে৷ দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা ও সামর্থ্যবানদের ফিতরা ও যাকাত আদায়ের পর এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্য পালন সহ খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকে৷ ঈদের দিনে একে অন্যকে “ঈদ মোবারক” বলে শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়। শুধু ঈদ উৎসব বলে না দুর্গা পুজার সময় দারিদ্র হিন্দু পরিবারের হাতেও নতুন কাপড় দিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছে সহৃদয়বান ব্যক্তি। এছাড়াও প্রকৃতিক দুর্যোগের সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশেও একাধিকবার সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। করনার সময় করোনা পজেটিভ ব্যক্তিদের থাকার সুব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে থেকে খাওয়া ও থাকার সুব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। দুস্থ পরিবারের মেধা ছাত্র ছাত্রীরা আর্থিক অনটনের কারণে পড়াশোনা করতে পারছেন না এরকম পরিবারের মেধা ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনা চালানোর দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন এই সহৃদয়বান ব্যক্তি। একই ভাবে সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি দারিদ্র পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সবার জন্য অনেক সুখময় ও আনন্দের হয়ে উঠবে।
এই বিষয়ে সহৃদয় ব্যক্তি লিয়াকাত আলী জানিয়েছেন আমাদের ইসলাম ধর্মে ডান হাত দিয়ে ডান করলে বাম হাত যেনো না জানতে পারে এই ভাবেই দান করতে হয়। আমি প্রতি বছর ঈদ এর সময় ও পুজোর সময় দারিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি, নতুন নতুন কাপড় তাদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। এছাড়াও প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়াই। আমার মত সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি দারিদ্র পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে সকলের ধর্মীয় উৎসব আনন্দের ও সুখময় হয়ে উঠে। এছাড়াও দুঃস্থ অসহজ পরিবারের মেধা ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার খরচ বহন করতে চাই।
এই বিষয়ে এক ব্যক্তি আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন প্রতি বছর ঈদ এর সময় আমরা এখন থেকে নতুন বস্ত্র পেয়ে থাকি। আমাদের গরীব মানুষদের জন্য সব সময় সহযোগিতা করেন এই ব্যক্তি। আমরা সকলে নতুন কাপড় পেয়ে ভীষণ খুশি।