আম পাড়ার ঘটনায় কিশোরকে অমানবিক অত্যাচার করে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

0
536

বুনিয়াদপুর বেলকুড়িয়াতে মালিককে না বলে বাগানের আম পাড়ার ঘটনায় কিশোরকে অমানবিক অত্যাচার করে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ,শোরগোল

শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর, ৩ জুন ,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-আম বাগানের মালিককে না বলে বাগানের আম পাড়তে যাওয়ায় এক কিশোরকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে। মালিকের অত্যাচারের হাত থেকে বাদ যায়নি বাকি দুই কিশোর বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার বুনিয়াদপুর পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বেলকুড়িয়া এলাকায়। আম পাড়তে গিয়ে মালিকের হাতে অত্যাচারিত হওয়া বাকি দুই কিশোর,মৃতের আত্মীয় ও এলাকার এক প্রতিবেশীরা আম বাগানের মালিক কিভাবে ওই তিন কিশোরদের সঙ্গে অমানবিক অত্যাচার করেছে এবং একজনকে পিঠিয়ে খুন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।মৃতের আত্মীয়দের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।এমন অমানবিক ঘটনায় বুনিয়াদপুর সহ জেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ এলাকাজুড়ে।

গ্রামবাসী ও রসিদপুর হাসপাতাল সুত্রে যানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরের নাম আসাদুল হোসেন (৬) । আম বাগানের মালিক মোক্তেয়ার চরম অমানবিক অত্যাচারের ঘটনায় বাকি আহত হওয়া বাকি দুই কিশোরের নাম দিলসাদ হোসেন ও সিদ্দিকুল্লা রহমান।মৃত ও আহতরা একে অপরের আত্মীয় বলে যানা গিয়েছে। তাঁদের সকলের বাড়ি বুনিয়াদপুর পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বেলকুড়িয়া এলাকায়।

মৃত ও আহতদের পরিবার সুত্রে খবর,বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তিনজন মিলে বাড়ির পাশে মোক্তেয়ার নামে এক আম বাগানের মালিকের বাগানে গিয়েছিলাম লুকিয়ে আম পাড়তে।অভিযোগ সেই সময় মোক্তেয়ার ওই তিন কিশোর আসাদুল হোসেন, দিলসাদ হোসেন ও সিদ্দিকুল্লা রহমানকে কেন চুরি করে আম পেড়েছিস ধাওয়া করে ধরে ফেলে। অভিযোগ এর পরেই মোক্তার তিনজন কেউ অমানবিকভাবে অত্যাচার চালাতে থাকে সেখান থেকে কিশোর দিলসাদ হোসেন ও সিদ্দিকুল্লা রহমান মোক্তেয়ার হাত থেকে পালিয়ে গেলেও পলাতে পারেনি আসাদুল বলে খবর। অভিযোগ এর পরেই মোক্তেয়ার আসাদুল হোসেনকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।বুকে কিল চড় দেবার পাশাপাশি পিঠে কিল মেরেছে তাঁর শরীরে বহু দাগ রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। পরে অমানবিকভাবে মোটা বাস দিয়ে পিটিয়ে ওকে মেরে ফেলেছে বলে মৃতের আত্নীয় স্বজনেরা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করে। দিলসাদ হোসেন,সিদ্দিকুল্লা রহমান নামে আম পাড়তে যাওয়া দুই কিশোর অভিযোগ করে জানান, আমরা মোক্তেয়ার বাগানে গিয়েছিলাম আম পাড়তে। সেখানে কেন আমরা তাকে না বলে আম পাড়ছি একথা বলা মাত্রই তিনজনকে ধাওয়া করলে আমরা দুজনকে মারধর দিতে থাকায় সেখান থেকে আমরা দুজনে পালিয়ে গেলেও আমাদের অপর একজন দিলসাদ হোসেনকে ধরে ফেলে মোক্তেয়ার৷পরে তাঁকে ধরে ধাক্কা মেরেছে, বুকে পিঠে কিল মেরেছে বেশ কয়েকটা মোটা বাস দিয়ে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। পরে শুনলাম ও মারা গেছে। মৃত কিশোরের আত্মীয় আম বাগানের মালিক মোক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির তিনজন মিলে মোক্তেয়ারের আম বাগানে গিয়েছিল।গিয়ে দেখি আম বাগানের মালিক মোক্তারের কোনে ছেলে রয়েছে একজন মোক্তেয়ার ধাওয়া দিতেই বাকি দুজন পালিয়ে গেলেও একজনকে প্রথমে ধরে ফেলে মোক্তেয়ার ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছে।বুকে কিল চড় দেবার পাশাপাশি পিঠে কিল মেরেছে তাঁর শরীরে বহু দাগ করেছে বিভিন্ন জায়গায়। পরে অমানবিকভাবে মোটা বাস দিয়ে পিটিয়ে ওকে মেরে ফেলেছে।

ওর ফাঁসির শাস্তির দাবি জানাই। মোবারক হোসেন নামে এক এলাকার প্রতিবেশী আম বাগানের মালিকের বিরুদ্ধে এমন অমানবিক অত্যাচার করে এক শিশুর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানোয় কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।

গঙ্গারামপুরের মহুকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনেছি। এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।তবুও পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। বাগান মালিককে না বলে কিশোরের আম পেড়ে নেওয়ায় এমন অমানবিক ভাবে কোন কিশোরের কেউ মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিতে পারে সেবিষয়টি নিয়ে বুনিয়াদপুর সহ জেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ এলাকাজুড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here