আদিবাসী স্কুল ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা!

0
128

আদিবাসী স্কুল ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা! কুমারগঞ্জের অভিযুক্ত শিক্ষককে ছয় বছর সশ্রম কারাদণ্ড আদালতের

বালুরঘাট, ১৯ জুলাই —– আদিবাসী নাবালিকা পড়ুয়াদের যৌন হেনস্থার দায়ে এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে ছয় বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। শনিবার বালুরঘাট জেলা আদালতের স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি শরন্যা সেন প্রসাদ বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই শিক্ষককে পকসো ১০ ধারায় ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায়ও দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি, ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৫৪(এ)১ ধারায় আরো এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত সুত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ১৬ নভেম্বর পঠন পাঠনের নাম করে স্কুলের চার নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আসে ওই স্কুলেরই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ১৯ নভেম্বর যা নিয়ে কুমারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার প্রাথমিক স্কুলের সহশিক্ষকের বিরুদ্ধেই উঠেছিল সেই অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে ফাঁকা শ্রেণীকক্ষে নাবালিকা পড়ুয়াদের বিভিন্নভাবে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ সামনে আসে। বিকৃতভাবে ওই শিক্ষক অশ্লীল আচরণও করতেন ছাত্রীদের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে দশ বছর বয়সী এক নির্যাতিতা ছাত্রী প্রথমে তার অভিভাবকদের জানায়। তারপরেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়। ছয় বছর ধরে তিনি বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। কিছুদিন আগেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। এদিন ওই শিক্ষককে সাজা দেওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিতা নাবালিকাদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন ‘এদিন বিচারপতি ওই শিক্ষককে সাজার রায় ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, নির্যাতিতা নাবালিকাদের ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির মাধ্যমে পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here