আদিবাসী গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

0
350

গঙ্গারামপুর থানার পাটন গ্রামে আদিবাসী গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে,আটক ২ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ গঙ্গারামপুর,২০ মে দক্ষিণ দিনাজপুর : আদিবাসী গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার পাটন গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের তরফে গঙ্গারামপুর থানায় কুলের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বেশ কয়েকজন আদিবাসী যুবকের নামে। ঘটনা রীতিমতো শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে । পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম পাঁচু হালদার (৩৪)। তার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুরে।এমন ঘটনায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ দুজনকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর রথতলার বাসিন্দা যুবক পাঁচু হালদার ,পেশায় সে মৎস্যজীবি। মাঝে মধ্যে পাঁচু পাটনে নেশা করতে যেত সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতেও সে যেখানে গিয়েছিল বলে খবর। অভিযোগ, সুভাষ সোরেনের স্ত্রী লক্ষ্মী মুর্মুর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে পাঁচুকে বেঁধে রেখে রাতভর মারধর করে বেশ কয়েকজন আদিবাসী বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে খবর পেয়ে পাঁচুর আত্মীয়রা ও প্রতিবেশিরা পাটন গ্রামে ছুটে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে ছুঁটে যুবককে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনার পর যুবককের পরিবারের লোকজন পিটিয়ে মারার অভিযোগ অভিযোগ তুলে গঙ্গারামপুর থানায় কয়েকজনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।
৩/২ বেলবাড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান পরেশ বসাক বলেন,মহারাজ রথখোলার এক যুবক পাঁচু হালদার পাটন টুনটুনি পাড়ার নেশা করতে যেত। গতকাল রাতে একটি বাড়িতে নেশা করতে গিয়েছিল। সেখানে মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকার সন্দেহে ছেলেটিকে আটকে রেখে মারধর করে। পরেশ বাবু বলেন ছেলেটিকে এতটাই মারধর করে যে আমরা গিয়ে দেখি মুমুর্শ অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁচ্ছে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসরা মৃত বলে ঘটনা ঘোষনা করেন। এটা খুব জনক ঘটনা। পরেশ বাবু বলেন যদি কেউ অন্যায় করে তাহলে বিচার ব্যবস্থা আছে। আইনের দরজা খোলা আছে। কিন্তু কেউ কাউকে পিটিয়ে খুন করবে এটা ঠিক আইন সম্মত কাজ নয়। যুক্তি যুক্ত ব্যাপারও না। মৃতের বাবা কালু হালদার অভিযোগ করে বলেন,গতকাল রাতে আমি মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। সকালে বাড়ি ফিরে দেখি ছেলে নেই।বেলা বাড়তেই খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি পাটনে ছেলেকে বেঁধে রেখে সারা রাত মারধর করেছে। পুলিশ উদ্ধার করে ছেলেকে হাসপাতাল নিয়ে গেলে মারা যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমার ছেলেকে যারা পিটিয়ে মেরে ফেলল পুলিশ তাদের সাজা দিক। মৃতের আত্মীয় গোপাল সরকার অভিযোগ করে বলেন,মাঝে মধ্যে আমার মামাতো ভাই পাঁচু পাটনে নেশা করতে যেত। গতকাল গেলে সন্দেহ ভাবে আমার ভাইকে বেঁধে রেখে মারধর করে।সকালে খবর পেয়ে গিয়ে দেখছি বাঁধা অবস্থায় আছে।তিনি অভিযোগ করে বলেন,আমার ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা এমন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ তাদের শাস্তি দিক।
এবিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,এক যুবককে মারধর করা হয়। যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।ঘটনার তদন্ত চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here