আলিপুরদুয়ার:-অষ্টমী হক আর দশমী আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়ির পুজো যেন হয়ে ওঠে এক মিলনক্ষেত্র।দুর্গাবাড়ির পুজো বরাবর আলাদা মাহাত্ম্য রাখে জেলাবাসীদের কাছে। আলিপুরদুয়ার দূর্গাবাড়ি দেবী মা দর্শন করার পর সবাই অন্য অন্য প্রতিমা দর্শন করবে এটাই রীতি চলে আসছে।
বেনারস থেকে বেনারসি শাড়ি এনে পড়ান হয় দেবী দুর্গাকে।এটিই রীতি।যা আলিপুরদুয়ারের দুর্গাবাড়িতে চলে আসছে প্রথম থেকে।আলিপুরদুয়ারের ঐতিহ্যবাহী পুজো বলতে একনামেই পরিচিত দুর্গাবাড়ির পুজো।পুরনো প্রথা মেনে দেবীর পুজো হয়ে আসছে এখনও।
আলিপুরদুয়ারের দুর্গা বাড়ির পুজো শতবর্ষ প্রাচীন।দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে মন্দির খোলা থাকে সারারাত।আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়িতেই প্রতিমা নির্মাণ করা হয়। প্রথা মেনে আজও দেবীর পরনের শাড়ি আসে বেনারস থেকে। বর্তমানে প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছে।মহালয়ার ভোরে চক্ষুদান করা হবে দেবীর।
মন্দিরের পুজো হলেও এই পুজোয় ভীড় বেশি লক্ষ্য করা যায় যুবক,যুবতীদের।পুজোর সময় মন্দির প্রাঙ্গন হয়ে ওঠে আড্ডাখানা।পুজোর পাশাপাশি যুবক,যুবতীদের হাসি,আড্ডা সব যেন মিলেমিশে উৎসবের মাত্রা আলাদা করে তোলে।মন
আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়ির পক্ষ থেকে জানা যায়, অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দিতে দুর্গাবাড়িতে ৩০০০ এর বেশি মানুষ আসে । দশমীর দিন প্রায় ৫ হাজার বেশি মানুষের সমাগম হয়।অষ্টমীর ভোগ নিতে কাড়াকাড়ি পরে যায় দেবীকে দর্শনার্থীরা অষ্টমীতে সন্দেশ ভোগ দেন।
এছাড়াও মন্দিরের পক্ষ থেকে দেবীকে খিচুড়ি,ভাজা সহ নানান ব্যঞ্জন নিবেদন করা হয়।।সন্ধ্যে বেলায় আরতি দেখতে ভীড় জমান দর্শনার্থীরা।দশমীর পর মন্দিরে বিজয়ার মিষ্টি মুখের আয়োজন করা হয়।