আর দশটা মানুষ যেভাবে বিবাহ বার্ষিকী পালন করেন সেভাবে পালন করলেন না করণদিঘী ব্লকের এক দম্পত্তি । এদিন তারা পুরোনো জামাকাপড় গরীব মানুষদের হাতে তুলে দিলেন । শ্লোগানের নাম দেওয়া হয়েছে প্রয়োজন না থাকলে দিয়ে যান, প্রয়োজন থাকলে নিয়ে যান এই মহৎ অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন করণদিঘীর বিধায়ক গৌতম পাল, করণদিঘী থানার আই সি সঞ্জয় ঘোষ, করণদিঘী ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বাপ্পাদিত্য রায়, ট্রাফিক ওসি সামীম ইকবাল আনসারি, সমাজসেবী মতিউর মাদানী, এবং বারডাঙ্গি বৃদ্ধা আশ্রমের সুপার শ্যামল দাস প্রমুখ। পেশায় তারা দুই জন দুই বিভাগে রয়েছেন কাঞ্চন জানা তিনি করণদিঘী থানার গোয়ান্দা বিভাগের আধিকারিক এবং তার স্ত্রী সীমা জানা তিনি করণদিঘী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্সিং ষ্টাফ, তাদেরকে সরকারি দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সমাজসেবা কাজে উদ্যোগী হতে দেখা গেছে । সোমবার তাদের ২৫ তম বিবাহবার্ষিকী। আর্থিক দিক থেকে তারা যথেষ্ট স্বচ্ছল। এই দিনটি তারা অনেক বেশী জাকজমক পূর্ণ ভাবে পালন করতে পারত। কিন্তু তারা সেই পথে না হেঁটে একটু অন্যভাবে পালন করছেন। তারা বিবাহবার্ষকী জাকজমক পূর্ণভাবে পালন করলে সমাজে এখনও বহু মানুষ আছেন যারা চরম আর্থিক কষ্টে ভুগছেন। ছোট ছোট শিশু সহ নিজেদের লজ্জা নিবারনের কাপড় যোগাড় করতে হিমিশিম খেতে হয়। আবার বহু মানুষ আছেন যাদের বাড়িতে দামীদামী জামাকাপড় বাড়িতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। তাদের অব্যহার্য কাপড় দিলেই এই অসহায় মানুষ গুলোর লজ্জা নিবারন হতে পারেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ২৫ তম বিবাহবার্ষিকী এভাবেই পালন করছেন।
বাইট…..কাঞ্চন জানা৷ .. গোয়েন্দা পুলিশ আধিকারিক,করনদিঘি থানা
সীমা জানা….,কাঞ্চনবাবুর স্ত্রী।