অফিস চত্বরে কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে থমথমে বালুরঘাট বি.এড কলেজ! অধ্যক্ষের ‘নীরবতা’ ঘিরে ক্ষোভ, পরিবারের দাবি—স্বাভাবিক মৃত্যু নয়!
বালুরঘাট, ১১ ডিসেম্বর —– বালুরঘাট বি.এড কলেজের ভেতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ চত্বরে কর্মী গোপাল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত নিথর দেহ মিলতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মঙ্গলপুরের বাসিন্দা গোপালবাবু সেদিনও প্রতিদিনের মতো হেসে-খেলে কাজে পৌঁছেছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর মৃত্যুসংবাদে ভেঙে পড়েছেন পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, এটি মোটেও স্বাভাবিক আত্মহত্যা নয়। কিছুদিন আগেই হার্টের অপারেশন সেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন গোপালবাবু। সংসারে কোনও ঝামেলা ছিল না বলেও দাবি পরিবারের।
মৃতের আত্মীয়া পৌশালি মজুমদার ও সুকুমার গোস্বামী সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন—“এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এ মৃত্যুর পেছনে কিছু লুকোনো আছে।” তাঁদের দাবি, ঘটনাস্থলে বেশ কিছু ‘অস্বাভাবিক’ বিষয় নজরে এসেছে। পরিবারের ক্ষোভ আরও বেড়েছে অধ্যক্ষ ববি মহন্তের ভূমিকা ঘিরে। মৃত্যুর পরপরই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে অধ্যক্ষ নাকি সামনে আসেননি।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ কলেজে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিললেও পরিবারের সন্দেহ এবং অধ্যক্ষের রহস্যজনক নীরবতা গোটা ঘটনাকে ঘিরে তৈরি করেছে নতুন উত্তেজনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে—পরিবারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।
কেন কলেজের মতো নিরাপদ জায়গায় এমন মৃত্যু? কোনও গোপন চাপ না কি অন্য কোনও অশুভ শক্তির ছায়া? প্রশ্নে তোলপাড় এখন বালুরঘাট বি.এড কলেজ। সত্য উন্মোচনের দাবিতে সরব মৃতের পরিবার।
তবে ঘটনা জানবার জন্য বালুরঘাট বি এড কলেজ অধ্যক্ষ ববি মহন্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেন নি তিনি।



















