চাঁচল:১৬ ডিসেম্বর:-মহিলাদের জন্য তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান পদ গঠিত হলোনা?নাকি অন্য আরন।সেই প্রশ্ন উঠতে শূরু করেছে এলাকায়।গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে অনাস্থায় অপসারিত হয়েছিল প্রধান ও উপপ্রধান।কিন্তু নতুন বোর্ড গঠন হলেও প্রধান নির্বাচিত হল না মালদহের চাঁচল-২ নং ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।
বৃহস্পতিবার ছিল নতুন বোর্ড গঠনের দিন।এদিন উপপ্রধান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কমলিকা থোকদার।কিন্তু প্রধান গঠন না হওয়ায় আপাতত উপপ্রধানই দায়িত্ব সামলাবে বলে জানা গেছে।কিন্তু অনাস্থাকারীদের মধ্যে একজন তফশিলি জাতি মহিলা থাকলেও তার শংসাপত্র জাল বলে আদালতে মামলা করেন অপসারিত প্রধান চম্পা সরকার।সেটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে।যদিও তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে,যতদিন না মামলা রায় বের হয়,আপাতত প্রধান গঠন হবে না।মামলার রায়ে যদি অপসারিত প্রধান জয়ী হয়,তাকেই প্রধান করা হবে।যদিও প্রধান গঠনের বিষয়টি দলের তরফে ভাবা বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য,গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০ টি আসনের মধ্যে ১৬ টি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস,৩ টি কংগ্রেস ও ১ সিপিআইএম দখল করে।পরে বিরোধীরা সবাই তৃণমূলে যোগ দেয়।তারপরেই বিরোধী শূণ্য করে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয় তৃণমূলেরই।কংগ্রেস থেকে তৃণমূল আসা চম্পা সরকার প্রধান পদে নির্বাচিত হয়।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে প্রধান চম্পা সরকার বোর্ডের সদস্যদের একাংশকে অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছিল বলে অভিযোগ।একাধিক দূর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে জোট বেধে দলেরই ১৫ জন সদস্য অনাস্থার পথে হাটে।গত নভেম্বর মাসে তলবি সভা অনুষ্ঠিত হলে প্রধান ও উপপ্রধান অপসারিত হয়।
বৃহস্পতিবার নয়া বোর্ড গঠনের দিন ধার্য্য ছিল।তবে এদিন আসন সংরক্ষিতের অভাবে প্রধান গঠন হল না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
নবনির্বাচিত উপপ্রধান কমলিকা থোকদার অভিযোগ করে বলেন,প্রধান আর্থিক তছরুপ ও একাধিক দূর্নীতিতে যুক্ত।তাই আমরা একক সংখ্যাগরীষ্ঠ ভাবে অনাস্থা আনি।অপসারিত হন প্রধান ও উপপ্রধান।আজকে আমাকে যোগ্য মনে করে উপপ্রধান হিসেবে গ্রহন করলো দলেরই সদস্যরা।আজকে প্রধান গঠন না হলেও আমি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাব।
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অপসারিত প্রধান চম্পা সরকার।তিনি বলেন,গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন।ওদের প্রধান হওয়ার বড়ো শখ।পঞ্চায়েত সুষ্ঠভাবেই চলছিল।দলের নাম বদনাম করার জন্যই তারা অনাস্থা আনে।তারা বোর্ড গঠন করলেও ব্যর্থ হল প্রধান নির্বাচনে।তাদের মধ্যে একজন জাল শংসাপত্র তৈরী করে প্রধান পদে আসার চেষ্টা করেছিল।কিন্তু আমি আদালতের দারস্থ হয়েছি।রায় আমার পক্ষেই হবে বলে আশাবাদী আমি।
চন্দ্র পাড়া অঞ্চল তৃণমূল কমিটির সহসভাপতি বিপ্লব থোকদার বলেন,প্রধান তার সংগরীষ্ঠতা দেখাতে পারেনি।তাই প্রধান পদ মুলতুবি থাকলো।উপপ্রধানে নির্বাচিত হল দলেরই সদস্য কমলিকা থোকদার।
চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিত নজরুল ইসলাম জানান,নয়া বোর্ডে উপপ্রধান পদে নির্বাচিত কমলিকা থোকদার।সংখ্যাগরীষ্ঠ না থাকায় প্রধান পদ মুলতুবি রাখা হল।
তবে এলাকাবাসীর বক্তব্য,প্রধানহীন পঞ্চায়েতে কাজের গতি কম হবে।দ্রূত প্রধান গঠিত করা হোক।