“হুইলচেয়ার নিতে রোগীর আত্মীয় জমা রাখতে হল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল,”

0
138

“গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের কাণ্ড”হুইলচেয়ার নিতে রোগীর আত্মীয় জমা রাখতে হল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল,” তার সংবাদ নিউজ চ্যানেল এই সংবাদ প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসলো জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ২০ মে দক্ষিণ দিনাজপুর।”স্ত্রীর জন্য হুইলচেয়ার নিতে জমা রাখতে হল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল” সেই সংবাদ স্টার সংবাদ নিউজ চ্যানেলে প্রকাশ হওয়ায় নড়েচড়ে বসলো জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারি ডঃসুদীপ দাস গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আধিকারিকদের নিয়ে মিটিং করেন।সেখানেই তিনি কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের এমন ঘটনা নিয়ে। সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে মিটিং এ প্রায় ৩০মিনিটের উপরে আলোচনাও হয় কেন এমন ঘটনা ঘটলো।রবিবার দুপুরে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুরের বাসিন্দা বিষয় কাঠের ব্যবসায়ী সুব্রত সূত্রধর তার স্ত্রী শিপ্রা সূত্রধর শারীরিকভাবে অসুস্থ হওযায় সুপার স্পেশালিটি পুরনো বিল্ডিং মহিলা বিভাগে ভর্তি করা হয় তাকে।সুব্রত বাবু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে,হাসপাতালে বাইরে ইকো কার্ডিওগ্রাফি করানোর জন্য হাসপাতালে ঠিকাদারদের মাধ্যমে নিয়োগ করা অস্থায়ী কর্মীরা হুইলচেয়ার চাইতে গেলে এন্ড্রয়েড ফোন জমা রাখেন।সেই ঘটনা আমাদের নজরে আসতেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়।বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরের শিলিগুড়িতে রয়েছেন।খবর প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসে জেলাস্বাস্থ্য দপ্তর।তড়িঘড়ি জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকারিক ডক্টর সুদীপ দাস গঙ্গারামপুর এসে মিটিংয়ে আলোচনা করে কার্যত সুপার, সহকারি সুপার অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেনি কর্মী ও নার্সদের এমন ঘটনা নিয়ে কারণ জানতে চান।তিনি মিটিং এও জানান যে, ঘটনায় যে দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থায় দেওয়া হবে। গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল মিটিং শেষ করে থেকে বের হওয়ার পথে জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুদীপ দাস জানিয়েছেন,”বিভিন্ন বিষয়ে মিটিং ছিল আলোচনা করা হয়েছে।হুইলচেয়ার নিতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন রোগীর আত্মীয় কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল।লিখিত অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল সে বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়েছে।দোষী প্রমাণিত হলে করা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে ঘটনা নিয়ে প্রশাসন তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়-সুব্রত বাবু।তিনি জানান,”ধন্যবাদ জানাই স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিককে।তিনি আশা রাখেন তার সঙ্গে যা হয়েছে আগামী দিনে যেন অন্য কারো সঙ্গে না হয়।” প্রশ্ন উঠেছে উঠেছে কবে ফিরবে হুশ স্বাস্থ্য দপ্তরের এই সমস্ত কর্মীদের তা নিয়েই সরগরম গঙ্গারামপুর সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here