মহা ধুমধাম সহকারে বিন্দ্যেশ্বরী কালী মাতার পুজো অনুষ্ঠিত হল

0
96

গঙ্গারামপুর থানার বিন্দ্যেশ্বরী এলাকায় মহা ধুমধাম সহকারে বিন্দ্যেশ্বরী কালী মাতার পুজো অনুষ্ঠিত হল,রয়েছে পুরনো বহু ইতিহাস,ভক্তদের ভিড হল ব্যপক
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৯ মে।প্রতি বছরের মত এবছরও মহাধুমধাম সহকারে বিন্দ্যেশ্বরী কালীর কালী মাতার পুজো অনুষ্ঠিত হল।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার বিন্দ্যেশ্বরী এলাকায় জ্যোস্ট মাসের প্রথম সোমবার মায়ের মন্দিরের স্থানে রবিবার গভিররাত থেকেই মা কালী পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে উত্তরবঙ্গের বহু ভক্তরা তাঁদের মনবাসনা পূর্ণ হয় বলেই ছাগবলি,পাইরা,মিস্টিভোগ বাতাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস মায়ের চরনে অর্পন করেন।মায়ের পুজোকে ঘিরেই এলাকায় ৭দিন ধরে বিরাট আকারে মেলা বসে। বিন্দ্যেশ্বরী মা কালীর ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানালেন প্রাক্তন প্রধান থেকে শুরু করে মন্দিরের সেবাইতেরা।মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলেই মায়ের এখানে আসি।পুজো ও মেলার প্রথম দিনেই ভিড় হয়েছিল রেকর্ড পরিমানে।
আজ থেকে ৬০/৭১বছর আগের কথা,বর্তমানে গঙ্গারামপুর থানার বিন্দ্যেশ্বরী এলাকা ঘন জঙ্গলে ভরে ছিল।তাঁর পাশপাশ দিয়ে কিছু মানুষজন বসবাস করে থাকতেন।মন্দিরের সেবাইত ও এলাকার বাসিন্দা তথ্য জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের কাছ থেকে যানা গিয়েছে যে,বিন্দ্যেশ্বরী এলাকার পাশ দিয়েই বয়ে চলা পূণর্ভবা নামে বিরাট আকারে নদীটি।সেই সময় বিন্দ্যেশ্বরী এলাকার এক বাসিন্দা স্বপ্নাদেশ প্রায় যে, পুণর্ভবা নদী দিয়ে একটি কাঠ ভেসে যাচ্ছে।সেই কাঠ দিয়ে বিন্দ্যেশ্বরী মা কালীর একটি মুখা মূর্তি তৈরি করে তোরা যদি স্থান দিস তাহলে এলাকার মানুষজনের মঙ্গল হবে।সেই সময় ওই ব্যাক্তি নদীতে গিয়ে দেখতে পান সেই কাঠটি নদীতে ভেসে চলে যাচ্ছে।তখন তিনি সেটিকে নদী থেকে তুলে নিয়ে এসে বিন্দ্যেশ্বরী মা কালীর একটি মুখা মূর্তি তৈরি করেন।সেদিনের দিনটি ছিল জ্যেষ্ঠ মাসের প্রথম সোমবার।সেই দিন থেকেই পুজো শুরু হয়।যা বর্তমান সময় পর্যন্ত মহাধুমধাম সহকারে পুজো হয়ে আসছে।জ্যোস্ট মাসের প্রথম রবিবার গভীর রাত থেকে মা বিন্দ্যেশ্বরী কালী মাতার পুজোর আয়োজন করা হয়।যা সোমবার সকাল হয়ে যায় পুজো হতে হত। সেখানে আরো কয়েকটি দেবদেবীর পুজো অনুস্টিত হয় সমস্ত নিয়ম মেনেই।সেখানে উত্তরবঙ্গের বহু ভক্তরা তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলেই ছাগবলি,পাইরা,মিস্টিভোগ বাতাসা,থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস মায়ের চরনে অর্পন করেন।সোমবার সকাল থেকেই বিরাট আকারে মেলা বসে সেখানে চলে ব্যপক পরিমানে বেচাকেনাও।
এলাকার বাসিন্দা তথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ধীরেন্দ্রনাথ সরকার,ও বিদ্দেশ্বরী কালী মাতার পুজোর মন্দিরের সেবাইত রেবতী চক্রবর্তীরা জানিয়েছেন,”মায়ের বহু ইতিহাস রয়েছে।ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলেই তারা এখানে ছুটে আসে।মেলা চলবে কয়েকদিন ধরেই।”
মেলাতে আসা মহিলা ভক্ত সুচিত্রা রায় জানিয়েছেন,”মনের বাসনা পূর্ণ হয় বলেই প্রতিবছর মায়ের পুজোর দিনে ছুটে আসি।” মেলাতে আসা দোকানদার সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন,”মায়ের আশীর্বাদে কালী মাতার পুজোতে দোকান লাগিয়ে ভালো ব্যবসা হয় তাই এখানে ছুটে আসি।”
পুজো ও মেলার প্রথম দিনেই ভিড় হয়েছিল রেকর্ড পরিমানে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here