বালুরঘাটের রাজপথে ১০০ ফুটের তেরঙ্গা! সেনাকে কুর্নিশ জানিয়ে তৃণমূলের পদযাত্রা

0
1008

বালুরঘাটের রাজপথে ১০০ ফুটের তেরঙ্গা! সেনাকে কুর্নিশ জানিয়ে তৃণমূলের পদযাত্রা

বালুরঘাট, ১৭ মে —–সেই তেরঙ্গা, যা উড়লে বুক ফুলে ওঠে। সেই সেনা, যাঁরা প্রিয়জন ছেড়ে পাহাড় পেরিয়ে পাহারা দেন সীমান্ত। আর সেই কৃতজ্ঞতা, যা শব্দে নয়—প্রকাশ পায় সম্মিলিত শ্রদ্ধায়, সশ্রদ্ধ নীরবতায়, শহরের মাটিতে অবিচল পায়ে হাঁটার মধ্য দিয়ে। শনিবার ঠিক এমনই এক দৃশ্যের সাক্ষী রইল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট। ১০০ ফুট দীর্ঘ জাতীয় পতাকা হাতে সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পথে নামল শহর তৃণমূল কংগ্রেস।

দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বালুরঘাট হাই স্কুল ময়দান থেকে শুরু হয় যাত্রা । শহরের বুক চিরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসে থামে সেই বহর। হাতে তেরঙ্গা, মুখে ‘বন্দে মাতরম’, ব্যান্ডের তালে বাজছে ‘জন গণ মন’। শহরজুড়ে এক অন্য আবহ। রাজনৈতিক ব্যানারের চেয়েও বড় হয়ে উঠল একটিই বার্তা—আমরা কৃতজ্ঞ।

যার নেতৃত্বে ছিলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র এবং শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মন্ডল। তাঁদের পাশে কর্মী-সমর্থকদের ঢল। তেরঙ্গা বেয়ে যেন শহর ছুঁয়ে যাচ্ছিল আবেগ। জনতার মুখে উচ্ছ্বাস, চোখে জলরেখা। শিশু থেকে বৃদ্ধ—রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দেখলেন, অনুভব করলেন।

প্রীতমবাবু বলেন, “ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগই আমাদের এই স্বাধীনতা, ধর্মনিরপেক্ষতা আর সার্বভৌমত্বের ভিত্তি। তাঁদের সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বলেন—দেশপ্রেম কোনও দলের একার হতে পারে না, এটা গোটা জাতির দায়। সেই বার্তাই আমরা পৌঁছে দিতে চাই।”

এই পদযাত্রা ছিল নিছক কর্মসূচি নয়—এ ছিল আবেগ, অহংকার, এবং সবচেয়ে বড় কথা, কর্তব্যের প্রকাশ। এক শতাব্দীর চর্চিত পতাকায় মুড়ে শহর যেন বলল—”আমরা ভুলিনি, আমরা ভুলব না।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here