এক যুবক এক মুখে বিভিন্ন অভিনেতাদের ডায়লগ অনুকরণ করতে পারেন হুবাহু

0
201

বালুরঘাট ১৮ মে।এক যুবক এক মুখে বিভিন্ন অভিনেতাদের ডায়লগ অনুকরণ করতে পারেন হুবাহু ,সঙ্গে বিভিন্ন নামী শিল্পীর কণ্ঠে গান গাওয়াতেও দক্ষ টোটো চালকের মুখে।তার এই অসাধারণ প্রতিভা এখন গোটা এলাকায় আলোচনার বিষয়।টোটো চালক যুবক জানান,চেষ্টা ছিল,তাই এগোতে পেরেছি।মানুষজনকে বিনোদন দিতে পারলে ভালো লাগে।তার এমন চর্চায় মুগ্ধ এলাকার মানুষজনও।তাদের আশা যুবকের এমন প্রতিভা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও বড় মঞ্চে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি।একদিন গোটা দেশ শুনবে গঙ্গারামপুরের এই প্রতিভাবান কণ্ঠসাধকের নাম।গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জানান,পুরসভায় যদি ওই যুবক সহযোগিতা চান,তাহলে আমরা তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।
গঙ্গারামপুর শহরের ২নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলার বাসিন্দা সত্যজিৎ রায় নামে ওই যুবকের থাকার একখানি ভালো ঘর পযন্ত নেই।সকাল হতেই সংসার পরিচালনার জন্য টোটো চালাতে প্রতিদিন বের হন তিনি।পরিবারে রয়েছে স্ত্রী অর্চনা রায়,বাবা অনেকদিন আগেই মৃত্যু বরণ করেছেন।মা প্রভারানী রায়, সহ তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান সোনালী রায়কে নিয়ে কোনমতে তাদের চলে সংসার।মেয়ে সোনালী বেলবাড়ি হাইস্কুলে এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশুনা করছে। টোটো চালক সত্যজিৎ সময় নিয়ে বিভিন্ন নামী শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী,কুমার শানু,অভিজিৎ ভট্টাচার্য ,সাব্বির কুমার,এসপি বালা শুভ্রমনিয়াল,উদিত নারায়ণের কণ্ঠে গান গাওয়াতেও দক্ষ।মুখে রয়েল বেঙ্গল টাইগার,কুকুর, বিড়াল,হাতি,ঘোড়া থেকে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর ডাক বলার চেষ্টা করছেন তিনি।তার এই অসাধারণ প্রতিভা এখন গোটা এলাকা সহ জেলাতে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে টোটো চালক।
এমন প্রতিভাবান যুবক সত্যজিৎ রায়কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কিভাবে সম্ভব হল এই অসাধ্য সাধন করতে।প্রশ্ন শুনেই উত্তরে সত্যজিত রায় জানাল ,”চেষ্টা ছিল তাই এগোতে পেরেছি।শুনেই বলতে পারি,বিগত ৩/৪ধরে এরকম কাজ করে চলেছেন তিনি।মানুষজনদের বিনোদন দিতে পারলে ভালো লাগে।বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে গানও গাইছেন তিনি।” সত্যজিতের স্ত্রী,”অর্চনা রায় জানালেন,”উনার প্রতিভা দেখে আমি নিজেই অবাক।ভালো জায়গায় পৌঁছাক সেই আশায় রাখবো।”
তার এই চর্চা ও নিষ্ঠায় মুগ্ধ শহর এলাকার মানুষজন সত্যজিতের কালিতলার বাড়ির এলাকার বিপ্লব সরকার,বিজয় রায়ের মত বাসিন্দারা জানাল,”ওর এমন প্রতিভা দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই।আগামীতে বড় জায়গায় পৌঁছাক সেই আশায় রাখবো আমরা।” গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জানান,“পুরসভায় যদি ওই যুবক সহযোগিতা চান,তাহলে আমরা সবরকম সাহায্য করব তাকে।”
এই অনন্য প্রতিভা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও বড় মঞ্চে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখছেন ওই যুবক।এলাকাবাসীর আশা, একদিন গোটা দেশ শুনবে গঙ্গারামপুরের এই প্রতিভাবান কণ্ঠসাধকের নাম।যাতে সুনামে ভরে উঠবে গঙ্গারামপুর সহ জেলার নাম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here