নাবালিকাকে ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্ত যুবককে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিল বালুরঘাট জেলা আদালত।

0
123

নাবালিকাকে ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্ত যুবককে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিল বালুরঘাট জেলা আদালত। আর জি কর কান্ডের সরগরম পরিস্থিতির মধ্যে এই রায় যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ, বলছে অনেকেই

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৬ সেপ্টেম্বর ———- আর জি কর কান্ডের সরগরম পরিস্থিতির মাঝেই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত এক যুবককে ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিল দক্ষিন দিনাজপুর জেলা আদালত। শুক্রবার ওই আদালতের স্পেশাল কোর্টের (পকসো) বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদ এমনই সাজা ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয় দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছমাস কারাদন্ডেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। একইসাথে নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরনেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, আর জি কর কান্ড নিয়ে যখন গোটা দেশজুড়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে। নির্যাতিতার সঠিক বিচারের দাবিতে সরব হয়ে রাত দখলের মতো অভিযানেও নেমেছে মেয়েরা। ঠিক সেই সময় নাবালিকা ধর্ষনের একটি মামলায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আদালতের এমন রায় যথেষ্টই তাতপর্যপুর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

আদালত সুত্রের খবর অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৮ ই জানুয়ারি বালুরঘাট থানা এলাকায় এক তিন বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। বাড়ির পাশে খেলার সময়ই অভিযুক্ত যুবক অমিত পাহান শিশু কন্যাটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ ওই শিশু কন্যাটিকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। আর এরপরেই ঘটনা জানিয়ে ওই শিশু কন্যার পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দ্বারস্থ হয় বালুরঘাট থানার। যার পরেই পুলিশ ওই অভিযুক্ত অমিত পাহানকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকেই মামলাটি চলছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আদালতের স্পেশাল (পকশো) কোর্টে। বুধবার যে মামলায় অভিযুক্ত অমিত পাহানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন যাকেই কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে বালুরঘাট জেলা আদালতের স্পেশাল (পকসো) কোর্টের বিচারক। করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী, ঋতব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ওই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদ। জরিমানা করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা, অনাদায়ে আরো ছমাস কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল বলেন, তিন বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করার উপযুক্ত সাজা দিতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ধর্ষণ কারীদের বিরুদ্ধে এধরণের সাজা দৃষ্টান্তমূলক হয়ে থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here