রেল প্লাটফর্মের পাশে ঘন্টাখানেক ধরে পড়ে থাকল হাত ও পা কাটা এক বৃদ্ধ

0
109

মালদা—হরিশ্চন্দ্রপুরে অমানবিক রেল।রেল প্লাটফর্মের পাশে ঘন্টাখানেক ধরে পড়ে থাকল হাত ও পা কাটা এক বৃদ্ধ।রক্তক্ষরণ ও জলের অভাবে জিআরপিএফ ও রেল কর্তৃপক্ষের সামনেই ছটপট করতে করতে প্রাণ গেল বৃদ্ধের।মৃত্যুর পরে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতাল বলে অভিযোগ।আজ শনিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় এক অসুস্থ বৃদ্ধ।তার একটা হাত ও একটা পা কাটা যায়।অভিযোগ,তাকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ঘন্টাখানেক স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ধারে ফেলে রাখল রেল পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,আজ শনিবার সকালে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে অসাবধানবশত রেলের চাকায় হাত এবং পা কাটা যায়। ওই আহত বৃদ্ধাকে দীর্ঘক্ষণ প্লাটফর্মে রোদের মধ্যে শুইয়ে রাখল রেল পুলিশ।হসপিটালে পাঠানো তো দূর,ওই ব্যক্তি বারবার জল খেতে চাইলেও অমানবিক রেল পুলিশ জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি। এমনকি যাত্রীরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসলেও তাদেরকেও লাঠি উঠিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসার অভাবেই ওই বৃদ্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছটফট করতে করতে মারা যান। সাংবাদিকরা সেখানে গেলে তাদেরকেও রেল পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।এমনকি কয়েকজন যাত্রী ওই আহত বৃদ্ধাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসলে তার মুখে জল দিতে গেলে তাদেরকেও লাঠি উঁচিয়ে তাড়িয়ে দেয় রেলের পুলিশ।জল চাইতে চাইতে ওই বৃদ্ধ ছটফট করতে করতে মারা যান হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে।এরপরে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আহত ব্যক্তিকে আগে আনলে বাঁচানো সম্ভব হতো। রেল পুলিশের গাফিলতির জন্যই এই বৃদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।হরিশ্চন্দ্রপুরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভেন্দু ভক্ত বলেন ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় নিয়ে এসেছিল জিআরপিএফ। আগে আনলে হয়তো তার চিকিৎসা করা সম্ভব হতো হয়তো উনি বেচেও যেতে পারতেন।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাজুড়ে।তবে এই অমানবিক ঘটনার মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here