ই-রিক্সা হঠাৎ করে পুজোর মুখে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে গঙ্গারামপুরে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে পথসভা ও মিছিল করলো। পুজোর মুখে প্রশাসন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে বড়সড়ো আন্দোলনে হুমকি দেওয়া হয়েছে
শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর ,20 সেপ্টেম্বর ,দক্ষিণ দিনাজপুর। ই-রিক্সা বন্ধের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামলো টোটো মালিকও চালকেরা। মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরে সিপিআইএমের শ্রমিক সংগঠনের তরফে মিছিল ও পথসভা করা হয়। যার নেতৃত্ব দেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস সহ একাধিক সিপিএম নেতারা। হঠাৎ করে জেলা পরিবহন দপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টোটো চালক থেকে মালিকেরা।তাদের ই-রিক্সা শহর এলাকায় চলাচল করতে না দিলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে সংগঠনও মালিক ও চালকদের তরফ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে প্রায় হাজার খানেকেরও বেশি টোটো চলাচল করে। বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন ইতিমধ্যেই শহর এলাকার মধ্যে টোটো চলাচল করে তাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে,মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বিচার ক টোটোগুলোকে শহর এলাকার মধ্যে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যে নির্দেশ ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনে এসে পৌঁছেছে। জেলা জাতীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির যুগে সেই নির্দেশ সকল টোটো চালক ও মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিআইডির ব্যানারে ই রিক্সা চালিত মালিক ও টোটো চালকেরা গঙ্গারামপুর শহরের বুকে জড়ো হয়। এর পরেই টোটো চলাচলে পুজোর মুখে প্রশাসনের এমন নির্দিষ্ট ঘিরে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ডে পথসভার আয়োজন করে। যে পথসভা ও মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস, সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য চক্রবর্তী সহ একাধিক সিপিএম নেতারা।
এ বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। রাজ্য থেকে যখন শিল্প চলে যাচ্ছে তখন, দূষণমুক্ত ই- রিক্সা চালিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করছে। যেখানে গাড়ি কোন ভাবে চলাচল করতে পারবে না। সেই কারণেই তাদের এই আন্দোলনের সামিল হয়েছি।
এদিন এমন আন্দোলনে প্রচুর পরিমাণে ই -রিকশা চালক ও মালিকেরা উপস্থিত হয়েছিল সিপিএমের সংগঠনের এই আন্দোলনে।