হরিরামপুরে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গ্রামীন সড়ক যোজনার রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে শোরগোল এলাকাজুড়ে

0
348

শীতল চক্রবর্তী হরিরামপুর ২৮ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর-নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীন সড়ক যোজনার রাস্তা সংস্কারের কাজে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের গৌকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঞ্জাপুর থেকে সুরাহার পর্যন্ত হওয়া রাস্তার কাজের।এলাকাবাসীদের অভিযোগ,ঠিকারদারের নির্দেশে তাঁর কর্মীরা এমনভাবে নিন্মমানের রাস্তা সংস্কার করছে যে রাস্তা তৈরি করার পরের দিনই পিচ উঠে যাচ্ছে।গ্রামবাসীরা কাজের জায়গায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।সেই সঙ্গে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার দাবিতে গ্রামবাসীরা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মূখ্যমন্ত্রী,সাংসদ থেকে মন্ত্রী,জেলা ও ব্লক প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঠিকাদার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সাংসদ থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও প্রশাসনের। এমন ঘটনায় শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে।


হরিরামপুর ব্লকের গৌকর্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁঞ্জাপুর থেকে সুরাহার পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটারের একটু বেশি রাস্তা সংস্কার করার জন্য বাংলার নির্মান গ্রামীন সড়ক যোজনার কাজ হবে ১৭/১২/২০১৯সালে। সেই কাজের জন্য প্রায় ১৬কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করা হয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের। কাজের বরাদ পান দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার ওয়েষ্ট জগতলার সংস্থা মূখার্জী এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার।সেই কাজের দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে নির্বাহী বাস্তুকার(ডাব্লু বি এস আর ডি এ)দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আধিকারিক।আগামী ২০২৪ সালের দিকে সেই কাজ শেষ করার কথা উল্লেখ রয়েছে প্রশাসনের মাধ্যমে লাগানো ব্যানারের বিভিন্ন জায়গায়৷ প্ৰধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সেই রাস্তা সংস্কার করতে যেমন ১৮কিলোমিটার উপরে পিচ রাস্তা করতে হবে,তেমনি কাটভটি সংস্কার করা,হিমপাইপ দিয়ে কাটভাট,হিউমপাইপ দিয়ে কাটভাট সংস্কার করা সহ একাধিক কাজ রয়েছে।এই রাস্তা দিয়েই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঞ্জাপুর থেকে সুরাহার পর্যন্ত বহু মানুষজন যেমন চলাচল করে এমনি, এই সমস্ত রাস্তার চারিপাশে প্রয়োজনীয় এমনকোন অফিস নেই যে সেখানে নেই। ফলে এই রাস্তাটির গুরুত্ব আলাদা। দির্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থার মধ্যে পরে থাকার পরে এলাকার বাসিন্দারা বেহাল রাস্তা সংস্কার করার জন্য উদ্যাগ নেয় প্রশাসন। কাজও শুরু হয় ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ করা তাঁর লোকজনদের মাধ্যমে।


এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী সৈয়দ আতাউল্লা সা আসরাফি,প্রতিবন্ধী এলাকাবাসী বীরেন ঘোষ,এলাকার ক্ষুদ্ধ দোকানদার জাকির হোসেন,সহ আরো দুই ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীদের অভিযোগ,ঠিকারদারের নির্দেশে তাঁর কর্মীরা এমনভাবে নিন্মমানের রাস্তা সংস্কার করছে প্রথম থেকেই। রাস্তা তৈরি করার পরের দিনই পিচ উঠে যাচ্ছে। কালভাটগুলোকে সংস্কার না করেই রং করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কাজের জায়গায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাই,সেই সঙ্গে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার দাবিতে গ্রামবাসীরা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মূখ্যমন্ত্রী,সাংসদ,মন্ত্রী, জেলা ও ব্লক প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা বলে জানিয়েছেন।


সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ-সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন,এই সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রাজ্য সরকারের নামে চালাতে চাইছে।সেই রাস্তার কাজ সংস্কার করতেও ভাগাভাগির জন্য নিন্মমানের কাজ করছ। বিষয়টি শুনেছি,যথাস্থানে জানানো হবে।

হরিরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কষি ও বিপনন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বিষয়টি শুনার পরেই জানিয়েছেন,কোন কাজের সাথে দুর্নীতি আপস করা হবে না।কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷


গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন,এমন বিষয়টি আপনার কাছে জানতে পারলাম। অবশ্যেই তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷


যদিও প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার জানিয়েছেন,নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা সঠিক কথা বলছে না।


এমন ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পরেছে হরিরামপুর সহ জেলাজুড়ে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here