বর্ষার শেষদিকে প্রবল বৃষ্টিতে আর বন্যার জলে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বিঘোরের বেগুনের ক্ষেত।

0
253

উত্তর দিনাজপুর:-বিঘোরের বেগুন আর তুলাইপাঞ্জি চালের ভাত না খেলে শীতের মরশুম যেন রায়গঞ্জবাসীর কাছে ম্যারম্যারে মনে হয়। শুধু তাই নয় রায়গঞ্জবাসীর দূর দূরান্তে থাকা আত্মীয় স্বজনদের বিঘোরের বড় বড় বেগুন না পাঠালেই চলেনা। উৎকোচ হিসেবেও বিঘোরের বেগুনের চল রয়েছে রায়গঞ্জে। শীত পড়ে গেলেও সেই বিঘোরের বেগুন এবার রায়গঞ্জবাসীর কাছে অধরা। তার এক এবং অন্যতম কারন বর্ষার শেষদিকে বন্যার আর প্রবল বৃষ্টি বিঘার পর বিঘা বিঘোরের বেগুনের জমি শেষ করে দিয়েছে। ফলন হয়নি এবার রায়গঞ্জের বিখ্যাত বিঘোরের বেগুন। ফলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে বেশি দাম দিয়ে মালদার আশাপুরের বেগুন দিয়েই খাবারের পাতে বেগুন ভাজার স্বাদ মেটাচ্ছেন রায়গঞ্জের মানুষ।

রায়গঞ্জ ব্লকের বিঘোর, ভিটিকাটিহার, দুপদুয়ার, ছিট মহারাজপুর এলাকার গ্রামগুলিতে বেগুনের রাজা বিঘোরের বেগুনের চাষ হয়ে থাকে। এক একটা বেগুন ১ কিলো থেকে ২ কিলো ওজনের সুদৃশ্য এবং সুস্বাদু বিঘোরের বেগুনের স্বাদ নিতে রায়গঞ্জ শহরের বাজারগুলিতে হামলে পড়েন ক্রেতারা। বছরের এই সময় রায়গঞ্জের বাজারে থরে থরে সাজানো থাকে বিশাল বিশাল আকারের বিঘোরের বেগুন। দামও থাকে একেবারে মধ্যবিত্তের নাগালে। শীতের সময় বাজারে এই সুস্বাদু বিশালাকার বেগুনের দাম থাকে ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কিলো। কিন্তু চলতি বছরে বর্ষার শেষদিকে প্রবল বৃষ্টিতে আর বন্যার জলে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বিঘোরের বেগুনের ক্ষেত। বিঘোরের বেগুনের ফলনই হয়নি এবার। ফলে রায়গঞ্জের বাজারগুলিতে দেখা মিলছেনা বিঘোরের বেগুনের। হতাশ খাদ্যরসিক বাঙালি। অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের আশাপুরের বেগুন ৮০ টাকা প্রতি কিলো দরে কিনে খেতে হচ্ছে রায়গঞ্জবাসীকে। তাও খানিকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। বিঘোরের বেগুন চাষীরা জানিয়েছেন বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারনে বিঘোরের বেগুনের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার তুলোর মতো নরম বিশাল বিশাল আকারের বিঘোরের বেগুন আর মানুষের হাতে আসছেনা। ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিঘোরের বেগুন চাষীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here