পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২১ সেপ্টেম্বর…… পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে তালিবানি শাসন চলছে তার অবসান ঘটানোই মুল লক্ষ্য। রাজ্য সভাপতির দায়ীত্ব নিয়েই বললেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার। একইসাথে নিপীড়িত কর্মীদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। সোমবার দিল্লীর নির্দেশে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদের রদবদল ঘটে। যেখানে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কে দেওয়া হয় রাজ্য সভাপতির দায়ীত্ব। আর যারপরেই কড়া ভাষায় মুখ খোলেন তিনি।
রাজ্য সভাপতি হবার পর কোন বিষয়কে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিচ্ছেন? সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তালিবানি শাসনের অবসান ঘটাবেন। রাজ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা স্পষ্ট রয়েছে। বাংলাকে রক্ষা করতে এর আগেও তারা এরাজ্যের তালিবানি শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন করেছেন। বর্তমানে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে তালিবানি শাসন চলছে তা রুখে দেওয়ায় তার মুল লক্ষ্য। এদিন একইসাথে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিংসার শিকার হওয়া কর্মীদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। যেসব নিপীড়িত কর্মীদের কাছে এখনও দল পৌঁছাতে পারে নি দেবতাস্বরুপ সেই সমস্ত কর্মীদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি । শুধু তাই নয়, সমস্ত কর্মীদের পাশে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা রয়েছে, যারা আগামীতে কাধে কাধ মিলিয়ে লড়াই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও দাবি করেছেন বিজেপির সদ্য দায়ীত্বপ্রাপ্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রথমদিনেই রাজ্য সভাপতির এমন বক্তব্য যথেষ্টই তাতপর্যপুর্ন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। দক্ষিন দিনাজপুর জেলা থেকে এই প্রথম কোন সর্বভারতীয় দলের রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় আবেগে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সোমবার রাত থেকেই বালুরঘাটে রাজ্য সভাপতির বাড়িতে ঢল নামে নেতা কর্মীদের। চলে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন। রাতে কলকাতার উদ্দেশ্যে রাজ্য সভাপতি বেরিয়ে গেলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে আবেগ ও উচ্ছ্বাস থেমে থাকে নি বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে। রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষকে মিষ্টি মুখ করিয়ে ও বাজি ফাটিয়ে আনন্দে মাতেন জেলা বিজেপি নেতৃত্বরা।
বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, তাদের ঘরের ছেলে আজ রাজ্যের সংগঠনের হাল ধরবার দায়ীত্ব পেয়েছে। এর থেকে আর খুশি তাদের হতে পারে না। তাই সকলে রাস্তায় নেমে আনন্দে মেতেছেন।