ভাইরাল জ্বর নিয়ে ইতিমধ্যে একটি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গতকালই জলপাইগুড়িতে ভাইরাস জ্বরের ফলে দু’জনের মৃত্যু ঘটনাও ঘটেছে ।

0
344

কোচবিহার:- ভাইরাল জ্বর নিয়ে ইতিমধ্যে একটি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গতকালই জলপাইগুড়িতে ভাইরাস জ্বরের ফলে দু’জনের মৃত্যু ঘটনাও ঘটেছে । তবে কোচবিহার জেলার বর্তমান পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।কারন গতকাল জলপাইগুড়িতে যে একজন শিশু মারা গেছে তার মধ্যে একজন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহাকুমার কুচলীবাড়ী এলাকার । তবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর অনুযায়ী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । তবে সর্দি-জ্বর-কাশি নিয়ে হাসপাতালে বিগত দিনের তুলনায় শিশুদের ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে এটাই স্বাভাবিক। যার ফলে কোচবিহার m.j.n. মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের একটি বেড়ে দুজন করে শিশুকে থাকতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় বহির্বিভাগে অন্যদিনের তুলনায় বর্তমান সর্দি জ্বর কাশি নিয়ে শিশুদের চিকিৎসা করানো ভিড় অনেকটাই বেশি। বুধবার সেই ছবিও ধরা পড়ল । তবে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রীতিমতো এ বিষয় নিয়ে মহাকুমা হাসপাতালে সুপার থেকে শুরু করে আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে সব রকম পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান কোচবিহার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুকান্ত বিশ্বাস ।


উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই একদিকে যখন করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের আক্রান্ত করবে । তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা হয়েছে । ঠিক সেই সময় শিশুদের মধ্যে ভাইরাল জ্বর একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে । প্রতিনিয়তঃ দেখা যাচ্ছে হাসপাতলে শিশুদের জ্বর সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি সংখ্যা অন্য সময়ের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে । মঙ্গলবার এর তথ্য অনুযায়ী কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শিশু বিভাগে 84 জন শিশু ভর্তি রয়েছে । যার মধ্যে 90 শতাংশ সর্দি জ্বর কাশি । জেলায় প্রায় 126 জন । হাসপাতালে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে জানা গেল বেশিরভাগ শিশুই সর্দি জ্বর কাশি তে ভর্তি হয়েছেন । রোগীদের কথামতো শিশু ভর্তি সংখ্যা এতটাই বেশি যার ফলে একটি বেডে দুজন করে থাকতে হচ্ছে । সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিশু ও শিশুর পরিবার সদস্যদের । একই ছবি ধরা পরল এদিন কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বহির্বিভাগের শিশু বিভাগে । অন্যদিনের তুলনায় এদিন ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি । যার মধ্যে প্রত্যেকেই সর্দি জ্বর কাশি নিয়ে তাদের শিশুকে চিকিৎসা করাতে এসেছেন ।
তবে কোচবিহার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুকান্ত বলেন, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর থেকে খবর পাচ্ছি জ্বরের সমস্যা দেখা গিয়েছে । ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রশাসনিকভাবে সমস্ত মহাকুমার ও স্বাস্থ্য দপ্তর আধিকারিক এর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে । প্রতিনিয়তঃ সমস্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে । তবে জ্বর আলাদা করে কিছু নেই ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here