তাঁদের ছেলের সন্তান নয় ওই শিশু, সন্দেহের বসে তপনে তিন বছরের নাতিকে খুনের অভিযোগ ঠাকুরদা ও ঠকুরমার বিরুদ্ধে আটক হল দুইজন পলাতক বাবাও

0
628

শীতল চক্রবর্তী তপন 1আগস্ট দক্ষিণ দিনাজপুর:-তাঁদের ছেলের সন্তান নয় সে।এই বসে তিন বছরের নাতিকে খুনের অভিযোগ উঠছে ঠাকুরদা ও ঠাকুরমার বিরুদ্ধে ।রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার ৪নম্বর হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব হরসুরা কুড়ি মেহেরার এলাকায়। মৃত শিশুর মা ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সন্দেহের বসে কিছু খাইয়ে দিয়ে তাঁকে খুন করেছে ওই ঠাকুরমা ও ঠাকুরদা।যদিও মৃতের ঠাকুরমা দাবি করেছেন,অসুস্থ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঠিক না।পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃত শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। ঠাকুরমা ও ঠাকুরদাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও বাবা পলাতক রয়েছে ,তাঁর খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। এমন ঘটনায় এলাকাজুডে বাপক শোরগোল পরেছে।


পুলিশ জানায় মৃত ওই শিশুর নাম রোশন দাস বয়স ৩ বছর। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মৃত রোপনের বাবা কৈলাশ দাস এখনও পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছেন৷দেবকী দাস ছিলেন কৈলাশ দাসের চতুর্থ নম্বর স্ত্রী। বাকি তিন স্ত্রী তাদের পরিবারে থাকেন না।কেউ বা ডিভোর্স দিয়েছেন কেউ আবার তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে পরিবার সূত্রে খবর ।কিন্তু আগের পক্ষের কৈলাশ দাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে,সে কৈলাশ পাসের পরিবারের সঙ্গে থাকে বলে খবর।


সুত্রে যানা গিয়েছে কয়েক বছর আগে কৈলাশ দাস চতুর্থ স্ত্রী দেবকী দাসকে বিয়ে করেছেন। সেই বিয়ের বেশ বেশ কিছুদিন পরেই তাঁর একটি পুত্র সন্তানের জনদেন । অভিযোগ, তাঁদের ছেলের এই সন্তান নয়, এই সন্দেহের বসে ঠাকুর নরেশ দাসও ঠাকুরমা পানাবতী দাস নাতি রোশন দাসকে প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ মা থেকে প্রতিবেশীদের। এই খুনের পিছনে তাঁরাই রয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।


কৈলাশ দাসের স্ত্রী দেবকী দাস ও এলাকার দুই প্রতিবেশী সঙ্গীতা দাস , নিতাই দাসদের অভিযোগ করে বলেন, ঠাকুরমা ও ঠাকুরদারা মিলে কিছু খাইয়ে দিয়ে খুন করেছে তাঁকে।কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
যদিও মৃত শিশুর ঠাকুরমা পানাবর্তী দাস তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, অসুস্থ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।যে অভিযোগ করছে তাদের বিরুদ্ধে তা ঠিক নয়৷


এমন ঘটনার খবর পাবার পরে সেখানে এসে এলাকাবাসীরা ভিড় জমতে থাকে ।ছুটে আসে তপন থানার পুলিশও।তাঁরা এসে মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি ঠাকুরমা ও ঠাকুরদাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও বাবা পালিয়ে গেছে এলাকা ছেড়ে।


জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পরো ঘটনা তদন্ত
এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here