প্রশাসনিক উদাসীনতা! দীর্ঘ বছরেও অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার তালিকা তৈরি হয় নি দক্ষিন দিনাজপুরে। সুযোগ বুঝে সাধারনের পকেট কাটছে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।

0
630

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ৩০ জুলাই— প্রশাসনিক উদাসীনতায় দীর্ঘ বছরেও তৈরি হয়নি এম্বুলেন্সের ভাড়ার তালিকা। কোভিড পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রোগীর পরিবারের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে পকেট কাটছে এম্বুলেন্স চালকরা। নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া বলেও অভিযোগ। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্ধারিত কোন ভাড়ার তালিকা না থাকায় কিছুটা নিরুপায় হয়েই বেশি টাকা দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দীর্ঘ বছর ধরে এম্বুলেন্স চালকদের এমন দৌরাত্ম্য চললেও নিশ্চুপ প্রশাসন। ঘটনা নিয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাননি বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিক।

     জেলার দ্বিতীয় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেশ কিস্কু জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

      দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর হাসপাতালে সরকারিভাবে রাখা এম্বুলেন্সগুলি দীর্ঘদিন ধরেই বিকল। শুধুমাত্র মাতৃযানের সুবিধাই বহাল রয়েছে। ফলে অন্যান্য ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিতে হলে বেসরকারি গাড়িতেই ভরসা রাখতে হয় এজেলার মানুষকে। আর এই সুযোগে কাজে লাগিয়ে মালদা রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি  অথবা কলকাতা নিয়ে যেতে রোগীর পরিবারের লোকেদের পকেট কাটছে এম্বুলেন্স চালকরা। শুধু তাই নয় নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যে বালুরঘাটে আই সি ইউ ও সিসিইউ লেখা দুটি অ্যাম্বুলেন্স নামানো হয়েছে বেসরকারিভাবে।  অভিযোগ এম্বুলেন্সের বাইরে এমন নাম লিখিয়েই দ্বিগুণ ভাড়া লুটছে তার চালকেরা। শুধু তাই নয় অন্যান্য অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও প্রশাসনিক উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে যেমন খুশি ভাড়া নিচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকেদের কাছে।

     বালুরঘাটের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক সংস্থার তরফে মহেন্দ্র প্রামানিক জানিয়েছেন, বেশি পরিমাণ ভাড়া নিয়ে থাকলে তা ঠিক নয়। সকল গাড়ির নির্দিষ্ট ভাড়া রয়েছে। তবে সরকারীভাবে ভাড়ার কোন তালিকা নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here