আস্ত রাস্তা চুরি! কাজ না করে বোর্ড লাগিয়ে রাস্তার টাকা লোপাট কুমারগঞ্জে। গন অভিযোগ বাসিন্দাদের
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৩ জুন —– পুকুরের পর ফের আস্ত রাস্তা চুরি কুমারগঞ্জে। দুর্ণীতির অভিযোগের কাঠগড়ায় সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামের ঢালাই রাস্তা নির্মাণ না করেই টাকা তুলে নেবার অভিযোগ স্থানীয় মেম্বার তথা পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ ও দেখান গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তা তৈরি না করেই পঞ্চায়েত প্রধান তথা স্থানীয় মেম্বার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। ঘটনা জানিয়ে গন অভিযোগ পত্রও প্রশাসনের কাছে দাখিল করেছেন বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ হওয়ার ঘটনা নিয়েও রহস্যের দানা বাধছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি প্রশাসনের একাংশের মদতেই চলছে এমন দুর্ণীতি।
জানা যায়, কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণ সহিদ গ্রামের মাহালি পাড়া বটতলা থেকে গ্রামের বাসিন্দা আতাবউদ্দিনের বাড়ি অবধি একটি ঢালাই রাস্তা নির্মাণের জন্য ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ করা হয় সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে বরাদ্দ ঐ টাকা দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজটি গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও রাস্তা নির্মাণ হয়নি। গ্রামবাসীদের আরো অভিযোগ রাস্তা নির্মাণের কাজের জন্য রাস্তার পাশে নির্বাচনের পূর্বে লাগানো বোর্ডটি এরপর হঠাৎই গায়েব হয়ে যায়। এরপর রাস্তার কাজের সেই বোর্ডটি তারা নিজেরাই খুঁজে ফের রাস্তার পাশেই লাগিয়ে দেন। কিন্তু তার মাঝেই গ্রামবাসীরা নেটের মাধ্যমে জানতে পারেন ওই রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে এমনটা দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে বলেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যারপরেই ঘটনার তদন্ত চেয়ে কুমারগঞ্জের বিডিও-র কাছে লিখিত গন অভিযোগ দাখিল করেছেন বাসিন্দারা। রাস্তা নির্মাণ না করে কিভাবে টাকা তুলে নেওয়া হল এবং এই ঘটনার পিছনে থাকা দোষিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ-ও দেখায়। গ্রামবাসীরা।
সুবর্ণ সহিদ গ্রামের ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের মধ্যে অন্যতম জিল্লুর রহমান সরকার, আবেদ আলী ও রজাব আলী সরকাররা অভিযোগ করে বলেন যারা দুর্ণীতিতে যুক্ত আছে তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। রাস্তা তৈরি না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছে এলাকার মেম্বার তথা পঞ্চায়েত প্রধান।
প্রাক্তন মেম্বার মুসলিম মোল্লা বলেন, এটা ডাকাতির থেকেও বড় ঘটনা। যারাই যুক্ত থাকুক তাদের কঠোর শাস্তি চাই।
সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খাইরুল মিয়া বলেন রাস্তা যেটা হওয়ার কথা ছিল সেটা রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, দুই একটা সই-এর কারনে রাস্তাটা হয়নি। তিনি বলেন রাস্তাটা টেন্ডার হয়ে গিয়েছিল কিন্তু কোন কারন বশত টেন্ডারটা আটকে গিয়েছে।
।গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনরকম বক্তব্য দিতে নারাজ কুমারগঞ্জের বিডিও চেওয়াং তামাং। বিডিও বলেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমি সংবাদমাধ্যমকে কোন বিবৃতি দিতে পারব না।