চাচোল:-‘চাঁচল বিধানসভায় জিতে আমার প্রথম কাজ থাকবে চাঁচল কে পৌরসভা করা’ চাঁচলের যিনি বিধায়ক রয়েছেন কখনোই তিনি চাঁচলবাসীর কথা ভাবেনি শুধু ভোট নিয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সাত দিন পর চাচোল বিধানসভায় পা রেখে এমনই মন্তব্য করলেন চাঁচল 45 নং বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী নিহার রঞ্জন ঘোষ। শুক্রবার দিন সকাল দশটা নাগাদ তিনি চাঁচলের মাটিতে পা রেখেই প্রথমে চাচোল কুমোরপাড়ায় অবস্থিত অনুকুল ঠাকুরের মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনার জন্য পুজো দিতে যান। পুজো শেষে কুমোর পাড়ায় কুমোরদের সাথে চাকটিতে হাতে হাত লাগিয়ে মাটির ঘট তৈরি করেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে চাচোল এর বিবেকানন্দ পল্লীতে চাচোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি কর্মীসভা করেন। কর্মী সভা শেষে তিনি চলে যান চাঁচলের জামে মসজিদে। সেখানে পীরের মাজাদে চাদর চাপান তিনি। তারপর চাচোল এর ঘোষপাড়ায় অবস্থিত রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে গিয়ে খোল বাজিয়ে কীর্তন করেন তৃণমূল প্রার্থী নিহার রঞ্জন ঘোষ।তারপর চাচোল এর এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে দুপুরে পঞ্চ ব্যঞ্জন সহকারে দ্বিপ্রাহরিক আহার সারেন চাচল বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী নিহার রঞ্জন ঘোষ। দুপুরের মেনু তে নীহার বাবুর পাতে ছিল, ভাত, ডাল, আলু পোস্ত, পটল পোস্ত, শাক, পনিরের তরকারি, ঝুরিভাজা সহ ইত্যাদি। খাবার শেষ শেষ করে আবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে পড়েন তৃণমূলের প্রার্থী। এলাকায় এলাকায় মানুষের মধ্যে জনসংযোগ বাড়ান। আর করজোড়ে অনুরোধ করেন এবারের ভোটটা যেন তৃণমূলকে দেওয়া হয়।
নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নিহার বাবু বলেন, চাচোল বাস এর সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারছি, যিনি এখানকার বিধায়ক রয়েছেন তার একটা পরিবর্তন চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন কারণ মুখ্যমন্ত্রী জানেন চাচোলবাশির একটা পৌরসভার প্রয়োজন। এখন চা চরের মানুষ যদি আশীর্বাদ, দোয়া, ভালোবাসা দিয়ে আমাকে প্রতিনিধি করে পাঠায় তাহলে আমি নিশ্চয়ই পৌরসভা করে দিতে পারব।