সংস্কৃতির শহরে এসে সংস্কৃতি ও নাটকের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন খোদ দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর, প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের বক্তব্য কে আংশিক সমর্থন নাট্যকর্মীদের

0
433

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২১ ফেব্রুয়ারী–––– সংস্কৃতির শহরে সংস্কৃতিই দেখতে পেলেন না খোদ দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।  কোটি কোটি টাকা খরচের পরেও নাটকের শহরে কেন আজো গড়ে উঠেনি নাটকের উপযুক্ত পরিকাঠামো সেই প্রশ্নও উস্কে দিয়েছেন মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। নির্বাচনের প্রাক মুহুর্তে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা সফরে এসে জেলার সংস্কৃতি ও নাটকের অব্যবস্থা নিয়ে কার্যত রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের ওই প্রতিমন্ত্রী। যাকে পুরোপুরি না হলেও আংশিক ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন বালুরঘাটের একাংশ নাট্যকর্মীরা। দুদিনের জেলা সফরে শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে হাজির হন কেন্দ্রীয় ওই প্রতিমন্ত্রী। জেলার মহকুমা শহর গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের পর ওইদিন রাতেই বালুরঘাটে এসে পৌছান মন্ত্রী।  রবিবার সকালে চায়ে পে চর্চার পর জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মন্ত্রীর কথায় আংশিক সহমত পোষন করে নাট্যকর্মীদের দাবী, নাটকের শহরে সংস্কৃতি আছে তবে সঠিক প্ল্যাটফর্ম নেই । 


এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তার বক্তব্যের মাধ্যমে ব্যক্ত করেন শহরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের কথা। যা উদ্বোধনের পরেও চালু করতে পারে নি রাজ্য সরকার। আর যার জেরে অনেক নাটকের দল তাদেএ নাটক পরিবেশন করতে পারছে না। অত্যাধুনিক মানের নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র থাকবার পরেও কেন নাট্যকর্মীরা নাটক করতে পারেন না সেই প্রশ্নই উস্কে দিয়েছেন। তার কথায় শহরে প্ল্যাটফর্মই নেই নাটকের, যেখানে নাট্যকর্মীরা নাটক করতে পারবেন। যা আছে তাতে কোন কাজ না হওয়ায় তা আজ কোভিড সেন্টার তৈরি হয়েছে। সমন্বয়ের উপর জোর দেবার পাশাপাশি  অদুরদর্শী এই রাজ্য সরকারকে সরিয়ে দেবারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের আগে খোদ দপ্তরের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে নাটকের শহর বালুরঘাটে। যার বক্তব্য কে কিছুটা হলেও সমর্থন করেছেন শহরের একাংশ নাট্যকর্মীরা।

নাট্য ব্যক্তিত্ব প্রদোষ মিত্র ও কমল দাসরা জানিয়েছেন, মন্ত্রীকে পুরোপুরি না হলেও আংশিক সমর্থন করেন তারা। সংস্কৃতি শহরে রয়েছে। এব্যাপারে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কমল দাস নামে এক নাট্যকর্মী। তবে অপরিকল্পিতভাবে নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলায় তা যে আজ নাট্যকর্মীদের কোন কাজে লাগছে না সে ব্যাপারে মন্ত্রীর কথায় একশো শতাংশ সহমত পোষন করেছেন তারা। তবে একজন মন্ত্রী হিসাবে তারও যে অনেক দায়ীত্ব রয়েছে সে বিষয়েও সরব হয়েছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here