পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৬ জানুয়ারি—— প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে মনীষীদের অপমান করে সাংসদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার কে ধুন্ধুমার কান্ড বালুরঘাটে। বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতেই তৃণমূল দুস্কৃতিদের দিয়ে এই অপপ্রচারে নেমেছে অভিযোগ বিজেপির। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিজেপি নেতৃত্বরা। বালুরঘাট থানার পতিরাম এলাকায় ৫১২ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। রাস্তায় নেমে এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেখা যায় খোদ বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকেও। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় বালুরঘাট ও পতিরাম ফাড়ির বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশি হস্তক্ষেপে প্রায় একঘন্টা পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের আই.টি সেলের দুষ্কৃতী বাহিনী সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে বদনাম করতে তার নাম ব্যবহার করে কুরুচিকর পোস্টার লাগিয়েছে। যে পোষ্টারগুলিতে ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পায়ের নীচে দেওয়া হয়েছে মনিষীদের ছবি। আর যার নীচে লিখা রয়েছে সৌজন্যে সুকান্ত মজুমদার সাংসদ। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সকালে পতিরাম, বোল্লা, বাউল এলাকায় এমন একাধিক পোস্টারকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার পরেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হিলি-গাজোল ৫১২ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা কর্মীরা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় খোদ সাংসদকেও। যদিও এরপরেই ঘটনা জানিয়ে বালুরঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংসদ নিজেই।
সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন রাতে তৃণমূলের আই.টি সেলের এক সদস্য শুভঙ্কর রায় তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে “সুকান্ত মজুমদার খেলা হবে”। যার পরেই সকালে এমন কুরুচিকর পোস্টার সামনে আসে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এমন কাজ করেছে। পুলিশ যাতে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই দাবি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকী জানিয়েছেন, তৃণমূল কোন চক্রান্ত করে না। আর এসব নিয়ে কোন নোংরা রাজনীতিও করে না। বিজেপি বরাবরই এসব করতে জানে। নিজেদের নোংরা কাজ ঢাকতে এখন তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
***