সিপিএম কর্মীকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় ডালখোলা থানার হাসান এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে

0
428

দীপঙ্কর দে, ইসলামপুর ১২ জানুয়ারি : মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে বাড়ি থেকে ডেকে সিপিএম কর্মীকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় ডালখোলা থানার হাসান এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে বলে ডালখোলা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে সিপিএম নেতৃত্ব শাসকদল তৃনমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। পাল্টা এদিনের ঘটনা সিপিএম বিজেপির গন্ডগোল বলে দাবী তৃনমুল নেতৃত্বর। যদিও ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক কারন নেই বলে মৃতের পরিবারের দাবী। জানা গিয়েছে, ডালখোলা থানার সুজাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসান এলাকার বাসিন্দা গুরুচাঁদ রায় (৫০) বাড়িতে রাতের খাবার খাওয়ার পর ডাক শুনে বাড়ির বাইরে যেতেই গুলির শব্দ শুনতে পান পরিবারের লোকেরা। বাড়ির বাইরে গিয়ে গুরুচাঁদ রায়কে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আত্মীয় পরিজন। ডালখোলা থেকে তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও ফরেন্সিক ব্যবস্থা না থাকার কারনে বামকর্মীর মরদেহ রায়গঞ্জে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবী, দীর্ঘ কয়েকবছর আগে সিপিএম করতেন গুরুচাঁদ। তবে বর্তমানে দলে সক্রিয় না থাকলেও সাধারন মানুষের সমস্যার সমাধানে এগিয়ে যেতেন তিনি। সম্ভবত এই কারনেই খুন হতে পারেন গুরুচাঁদ। যদিও সিপিএম নেতা বিকাশ দাস বলেন, গুরুচাঁদ রায় তাঁদের দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। রাজ্যে যেভাবে খুনোখুনির রাজনীতিতে শাসকদল তৃনমুল মেতেছে। তাতেই খুন হতে হলো তাদের দলীয় কর্মীকে। ঘটনায় পুলিশ যাকে আটক করেছে সে একজন তৃনমুল সমর্থক বলে জেনেছেন। ডালখোলা পৌরসভার প্রশাসক সুভাষ গোস্বামী বলেন, ওই এলাকা সিপিএমের সেখানে দু’একজন তৃনমূলের কর্মী রয়েছে। আমরা সেখানে যাইও না। এই ঘটনা সিপিএম বিজেপির দলাদলির কারনে ঘটেছে। ঘটনার সাথে তৃনমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। সবমিলিয়ে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের শুরুতেই উত্তরবঙ্গে খুনের রাজনীতি শুরু হয়ে গেলো বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here