দুষ্কৃতীদের হাতে মাছ ব্যবসায়ী রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় তপনে শোরগোল, তদন্তে পুলিশ
শীতল চক্রবর্তী ঙ্গারামপুর,দক্ষিণ দিনাজপুর,১১ জানুয়ারী;– ক্ষতবিক্ষত মাছ ব্যবসায়ী যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার ২ নম্বর আজমৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুর শিবতলা এলাকায়।এলাকাবাসীরা ওই যুবকের মৃতদেহ পানাপুকুরে পড়ে থাকতে দেখে তৎক্ষণাৎ থানায় খবর দেয়।পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীদের অভিযোগ, যুবককে কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে আঘাত করে মারার পরে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।ঘটনার স্থলে বেশ কয়েক জায়গায় রক্ত দেখতে পাওয়া গেছে।পুলিশ এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তপন থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মিলন দাস (২৭), পেশায় তিনি মাছ ব্যবসায়ী।বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার গুরাইল্ গ্রাম পঞ্চায়েতের নবাব নগর এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রতিদিনের মত আজকেও মিলন মোটর বাইক নিয়ে মাছ কেনার জন্য গঙ্গারামপুর যাবার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে গোপীনাথপুর রাজ্য সড়কের পাশে একটি জলাশয় পড়ে থাকতে দেখেন। এমন ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় স্থানীয় বাসিন্দার পাশাপাশি পথচলতি মানুষেরা। শীতের পোশাক পরা ওই যুবকে কোন ধারণা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে মারার পরে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান করছেন এলাকাবাসীরা। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে ওই যুবকের মোটরবাইক পাওয়া গিয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি হেলমেট, বেশ কিছু জায়গায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে, কেউ হয়তো ওই যুবককে মেরে জলে ফেলে দিয়েছে বলে অনুমান করছে অনেকেই।
এ বিষয়ে মৃত যুবকের জামাইবাবু মঙ্গল বিশ্বাস জানিয়েছেন,ভোরবেলা বাড়ি থেকে মাছ কেনার জন্য বের হয়েছিল, দীর্ঘক্ষন পরেও বাড়ি না ফেরায় বাড়ির সকলে চিন্তিত হয়ে খোঁজাখুঁজি করছিল, পরে জানতে পারি গোপিনাথপুরে তার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। হাতে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, পুলিশ পুরো ঘটনা তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়।
এলাকার তিন বাসিন্দা জ্যোতিষ দাস, বিপদ রায়, রাজু রায় জানিয়েছেন, এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে এমন ঘটনা শুনতে পেরে দেখতে এসেছি, অনুমান কে বা কারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পরে জলে ফেলে দিয়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন যেহেতু এই এলাকা সন্ধ্যার পর থেকেই লোকসমাগম কমে যায় তাই এলাকায় কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।
এদিন পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রথমে তপন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে বালুরঘাটে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এখন দেখার বিষয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওই পরিবারের সদস্যের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা।