পিন্টু কুন্ডু , গঙ্গারামপুর, ৭ জানুয়ারী— হাজার হাজার মানুষের সমাগমে গঙ্গারামপুরের জনসভা থেকে বিজেপিকে রাজ্য ছাড়া করবার ডাক দিলেন তৃনমুল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের স্টেডিয়ামে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বাড়ি ফিরলেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। স্থানীয় নেতৃত্বরা যুব সভাপতির এমন সভা কেন কোন বড় জায়গায় করলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন সভায় ঢুকতে না পারা মানুষেরা।
এদিন দুপুর ১ টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিলিগুড়ি থেকে সড়ক পথে দুপুর আড়াইটে নাগাদ গঙ্গারামপুর পৌঁছায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সভাস্থল অত্যন্ত ছোট হওয়ায় অনেক কর্মী সমর্থক দাঁড়াবার জায়গা টুকুও পাননি। বাধ্য হয়ে ভিড়ে ঠাসা ওই সভাস্থল ছেড়ে যেতে হয়েছে অনেককেই। এমন ঘটনায় স্থানীয় নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কর্মী সমর্থকরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দলের দ্বিতীয় প্রধান হেভিওয়েট নেতার সভাস্থল কেন বড় কোন খোলা মাঠে করা হল না? জেলা নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে সেই প্রশ্ন তুলেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ভিড়ে ঠাসা সভায় না দাড়াতে পারা অগনিত মানুষজনেরা।
এদিন তৃনমুল নেতা অভিষেক ব্যানার্জীর টানা আধঘন্টার বক্তৃতায় বার বার বিজেপিকে আক্রমন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি দিল্লি থেকে আসা বিজেপির নেতাদের বহিরাগত বলে বাংলা থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করবার কথাও বলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন পদ্মফুল শুকিয়ে গেলে মানুষ তাকে জলে ফেলে দেয়। আর ঘাস যত কাটবে ততই বাড়বে, তাই তৃনমুলকে দমিয়ে রাখতে পারা যাবে না। তৃতীয় বারের জন্য মমতা ব্যানার্জিই আবার ক্ষমতায় আসছে বলেও এদিনের সভা থেকে বিজেপিকে জোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিষেকের সভায় যোগ দিতে আসা কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পরিমল দেবনাথ, বাদল কর্মকার ও মিনারুল ইসলাম শাহীন জানিয়েছেন, নেতৃত্বদের বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত ছিল। এত ছোট মাঠ করায় অনেকেই অভিষেক ব্যানার্জিকে দেখার সুযোগ পাননি। এতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাঠে জায়গা না পেয়ে তাদের প্রিয় নেতার কথা না শুনে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
