কালিয়াগঞ্জ:—বিজেপির দাঙ্গার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কালিয়াগঞ্জ বনধে সাড়া দিলনা সাধারন মানুষ। বিভান্তিমূলক রাজনীতির প্রতিবাদ জানিয়ে স্বাভাবিক জনজীবন পালন করল কালিয়াগঞ্জের সাধারন মানুষ। বিজেপির ডাকা কালিয়াগঞ্জ ব্লক বনধ ব্যার্থ করল সাধারন মানুষ। জোর করে বনধ করা ও এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগে ২৩ জন বিজেপি নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করল কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। বিজেপি বনধ ডাকলেও সাধারন মানুষ সেই বনধকে উপেক্ষা করে পথে নামে। এদিন কালিয়াগঞ্জের জনজীবন ছিল একেবারে স্বাভাবিক। কালিয়াগঞ্জের নসিরহাট এলাকায় এক গৃহবধুর আত্মহত্যার ঘটনাকে নিয়ে বিভ্রান্তির রাজনীতি শুরু করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি। ওই গৃহবধূকে ধর্ষন করে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ বনধের ডাক দেয় বিজেপি। মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করে।
গত ৪ নভেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকৈল গ্রামপঞ্চায়েতের নসিরহাট দাসপাড়া এলাকায় জয়ন্তী দাস নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ এই ঘটনায় মৃতা গৃহবধূর স্বামী উজ্জ্বল সরকার ও শ্বাশুড়ি হিমা সরকারকে গ্রেফতারও করে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও আত্মহত্যার উল্লেখ রয়েছে। কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি নিতাই বৈশ্য জানিয়েছেন, কালিয়াগঞ্জের সাধারন মানুষ প্রকৃত ঘটনা জানে। তাই বিজেপির ডাকা বনধকে প্রত্যাখ্যান ও উপেক্ষা করে স্বাভাবিক কাজকর্মে পথে নামে। দোকানপাট, হাট বাজার সবকিছুই খোলা হয়। রাস্তায় স্বাভাবিকভাবেই চলে যানবাহন। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যশপ্রীত সিং বলেন, জোর করে বনধ করার চেষ্টা ও অশান্তি তৈরি করার অপরাধে এদিন ২৩ জন বিজেপি নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। কালয়াগঞ্জে আর পাঁচটা দিনের মতোই জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।