শীতল চক্রবর্তী ,বুনিয়াদপুর :- সৌভ্রাতৃত্ব, বিশ্বশান্তি ন্যায় ও মানবকল্যাণের পথপ্রদর্শক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জন্মদিন ঈদ- এ – মিলাদুন – নবী উপলক্ষে আলে সুন্নাত অঞ্জুমান কমিটির পক্ষ থেকে পাটুল মোড় থেকে শুরু করে টিটল পর্যন্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে বাইক রেলি বের করেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার চাঁচড়া মোড় ও পাটুলি থেকে শুরু করে ডিটইল পর্যন্ত বাইক রেলী করে আবার বাইক এলইডি পৌঁছায় পাটুল আইহারা রহমানিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে নামাজ শেষ করে সমস্ত লোকেরা হাড়ের ব্যবস্থা করা হয়। আজকের এই দিনটি পালন করা হয় মূলত আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে আরবের মরুর বুকে জন্ম হয়েছিলো ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর। ১৪ শত বছর আগের এ দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ। অন্যায়, অবিচার, দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে তার আগমন পৃথিবীকে দেয় মুক্তি ও শান্তির সার্বজনীন বার্তা। ৬৩ বছর বয়সে এ দিনেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাই সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।
দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পর মানবজাতির জন্য রেখে গেলেন মহাগ্রন্থ আল কোরআন। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ নির্দেশিকা। মাত্র ৬৩ বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও এখনো তার আদর্শে অনুপ্রাণিত পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তর।
বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় তীর্থস্থান মসজিদুল হারাম থেকে সামান্য দূরেই রাসুল (সা.)-এর পিতা আবদুল্লাহর ঘর অবস্থিত। ‘শিআবে আলী’র প্রবেশমুখ হিসেবে পরিচিত জায়গাটি। তৎকালীন সময়ে বনি হাশেম গোত্রের লোকেরা যে জায়গায় বসবাস করতেন সেটিকেই ‘শিআবে আলী’ বলা হতো।ইতিহাসবিদদের মতে, বাবা আবদুল্লাহর যে ঘরে মহানবী (স.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটি এই জায়গাতেই ছিলো। মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে রাসুল (সা.) এ ঘরেই বসবাস করতেন বলে জানা যায়। যদিও এ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো ঐতিহাসিক তথ্য বা প্রমাণ নেই। তবুও মক্কা নগরীতে এটি রাসুল (সা.)-এর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত।
পাটুল আইহোরা রহমানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন আহাম্মেদ জানিয়েছেন প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা বিশ্বনবীর জন্মদিনে সকলে মিলে একত্রিত হয়ে মেতে উঠেছি। আমাদের পাটুল থেকে প্রায় 2500 লোকজন বাইক ও গাড়ি নিয়ে পাটুল থেকে শুরু করে চেচরা দিয়ে ডিটোল পর্যন্ত এসে আবার রাউন্ড করে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে পৌঁছাব। সেখানে আবার নামাজ শেষ করে ফাতেহা করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা ভীষণ আনন্দ করছি।
রেলিতে আশা মোহাম্মদ মহাসিন আলী জানিয়েছেন আমাদের বাৎসরিক রবিউল আউয়াল চাঁদের 12 তারিখে আমরা নবীজির জন্মদিনে উৎসব করে থাকে।